সাবরীন জেরীন,,
মাদারীপুরের কালকিনিতে মোঃ রাসেল হাওলাদার নামের এক যুবলীগ নেতার উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় ঐ যুবলীগ নেতাসহ দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে। পরে থানা পুলিশের সহযোগীতায় স্থানীয় লোকজন আহতদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে একজনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ট করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনায় মেয়রসহ ৮জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী রাসেল।
মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার দক্ষিন জনারদন্দী গ্রামের গৈজদ্দিন বয়াতীর ছেলে মোঃ ফরিদ বয়াতীর বসতঘরে বসে রোববার সন্ধ্যায় ঐ এলাকার যুব সমাজের উদ্যোগে বনভোজনে যাওয়ার জন্য একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ঐ আলোচনা সভায় কালকিনি উপজেলা যুবলীগের অন্যতম সদস্য মোঃ রাসেল হাওলাদার অংশ গ্রহন করেন। এ আলোচনা সভার খবর পেয়ে একই এলাকার এমারত হাওলাদার, স্বপন হাওলাদার, কালু হাওলাদার, দেলোয়ার হাওলাদার, সোহাগ বয়াতীসহ বেশ কয়েকজন যুবক মিলে দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে আহত হয় যুবলীগ নেতা মোঃ রাসেল হাওলাদার ও ফরিদ বয়াতী। পরে কালকিনি থানা পুলিশের সহযোগীতা নিয়ে স্থানীয় লোকজন আহতদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে আহত ফরিদ বয়াতীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ হামলার ঘটনায় আহত যুবলীগ নেতা রাসেল হাওলাদার বাদী হয়ে একই এলাকার এমারত হাওলাদার, মেয়র এনায়েত হাওলাদার, স্বপন হাওলাদার, কালু হাওলাদার, দেলোয়ার হাওলাদার, ও সোহাগ বয়াতীসহ ৮জনকে আসামী করে কালকিনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পৌর যুবলীগের সভাপতি মাসুদ রানা জাপান বলেন, মোঃ রাসেল হাওলাদার পৌর যুবলীগের অন্যতম একজন সদস্য। তার উপর যে হামলা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা যানাই।
আহত যুবলীগ নেতা মোঃ রাসেল হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে। তাই আমি মেয়র এনায়েত হোসেনসহ ৮জনের নামে থানায় মামলা করেছি।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মোঃ নাছির উদ্দিন মৃধা বলেন, যুবলীগ নেতা রাসেলের উপর হামলার খবর পেয়ে তাকেসহ দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ হামলার ঘটনায় মেয়র এনায়েত হোসেনসহ ৮জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং-৫। তবে আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
+ There are no comments
Add yours