ভোলার মনপুরা উপজেলার চরনিজাম এলাকা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ভাসমান নৌযানটি কোনো জাহাজ নয়, একটি বার্জ।
বার্জ হচ্ছে ছোট আকারের জলযান। যা বন্দর থেকে নৌপথে পণ্য পরিবহন করে বলে জানিয়েছেন মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় তিনি বলেন, বার্জটি নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ড দেখভাল করছে। এটি বিদেশি কোনো নৌযানও নয়। বরং বাংলাদেশে নির্মাণাধীন মেগা প্রজেক্ট মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজে ব্যবহৃত একটি জলযান।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন ভোলার মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কে এম শাফিউল কিঞ্জল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ জেড কিংদাউ নামের বার্জটি প্রায় ১৩ হাজার মেট্রিক টন বিদেশি পাথর এবং পাথর ভাঙার যন্ত্রপাতিসহ ভারতের কাকিনাদা পোর্ট থেকে কক্সবাজারের মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্টের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। পথে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পরে টাগ বোর্ড থেকে বার্জটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর এ জেড কিংদাউ নামের এই বার্জটি সাগরে ভাসতে ভাসতে বর্তমানে চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নের চর নিজামের পূর্ব প্রান্তে এসে আটকা পড়ে। বৃহস্পতিবার দিনভর এবং শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা বার্জ থেকে কিছু মালামাল সরিয়ে নেয়। বর্তমানে কোস্টগার্ডের সদস্যরা বার্জটিকে তাদের হেফাজতে রেখেছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) ‘আল কুবতান’ নামের ওই বার্জটি ভাসতে দেখে স্থানীয় প্রশাসনকে জানায় লোকজন। প্রাথমিকভাবে বিদেশি জাহাজ বলে তথ্য ছড়িয়ে পড়লেও পরবর্তীতে ভুল প্রমাণিত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ভাসমান নৌযানটির মালামাল নিকটবর্তী চরনিজাম ও ঢালচরের স্থানীয় বাসিন্দারা ট্রলারে গিয়ে নিয়ে আসছেন।
+ There are no comments
Add yours