২০২১-২২ অর্থবছরে সরকার ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিয়েছে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
২০২০-২১ অর্থবছরে নিয়েছিল ২৬ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে সরকারের ব্যাংক ঋণ বেড়েছে ৪৬ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা।
বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব আহরণ ও সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ কম হওয়ায় বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংক সেক্টর থেকে এই ঋণ নিয়েছে। চলতি অর্থবছরেও ব্যাপক হারে ব্যাংক ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সরকার ব্যাংক ঋণ নির্ভরতা বাড়ালে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ আরও কমার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের জন্য ঘোষিত সংকোচনমূলক মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজারে টাকার প্রবাহ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক দুটি বিষয়কে প্রাধান্য দিচ্ছে।
- চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ, যা আগে ছিল ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
- অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধারের সুদ বা রেপো হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৫ শতাংশ করে দিয়েছে।
এর ফলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ আরও কমতে পারে। বেসরকারি বিনিয়োগই দেশের কর্মসংস্থানের বড় উৎস। এছাড়া নতুন অর্থবছরে ১ লাখ ৬ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৪০ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, বাংলাদেশে ছয় কোটির বেশি লোক কাজ করেন। এর মধ্যে মাত্র ২০ লাখের মতো সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারী ও শিক্ষক আছেন। বাকি সব কর্মসংস্থান বেসরকারি খাতের। প্রতিবছর ১৪ থেকে ১৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়। এর মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি বেসরকারি খাতে। ফলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ শ্লথ হলে কর্মসংস্থান কমবে, মানুষের আয় কমবে। এর ফলে মূল্যস্ফীতির চাপ আরও বাড়তে পারে।
+ There are no comments
Add yours