চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের পর আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই ছাত্রী প্রক্টর কার্যালয়ে অভিযোগ দিতে গেলে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বাধা দেন বলেও অভিযোগ এসেছে।
রোববার (১৭ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চবি ক্যাম্পাসে প্রীতিলতা হলের মূল ফটকের কাছাকাছি পাহাড়ের পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
তৃতীয় বর্ষের সেই ছাত্রীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে প্রক্টর রবিউল হাসান জানান-
রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই ছাত্রী তার এক বন্ধুসহ প্রীতিলতা হলের সামনে দিয়ে হেঁটে বেগম খালেদা জিয়া হলের দিকে যাচ্ছিলেন। ওই বন্ধু অবশ্য চবি’র ছাত্র নন। এ সময় দু’টি মোটর সাইকেলে করে পাঁচজন এসে তাদের পথরোধ করে। বন্ধুকে মারধরের পাশাপাশি ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে ছাত্রীকে পাহাড়ের পাদদেশে টেনে নিয়ে যৌন নির্যাতন করে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে। এর পর তাদের কাছ থেকে দু’টি মোবাইল ও ৩ হাজার ৭০০ টাকা কেড়ে নিয়ে তারা চলে যায়।
প্রক্টর রবিউল হাসান বলেন, ‘সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের পর ভিডিও ধারণের বিষয়ে আমরা মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। এরপর আমরা প্রীতিলতা হল থেকে খালেদা জিয়া হল পর্যন্ত আশপাশের সব সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেখানে অনেক মোটরসাইকেল দেখা গেছে। চেষ্টা করছি, অভিযুক্ত কারও চেহারা শনাক্ত করতে পারি কি না। আগামীকাল (মঙ্গলবার) ওই ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। তখন আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বাধা দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘আক্রান্ত ছাত্রী আমার ছোট বোনের মতো। আমি যখন ঘটনাটা শুনি নিজেই প্রক্টর অফিসে ফোন করে জানাই এবং এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলি। আজ (সোমবার) প্রক্টর অফিসে তার সাথে আমার দেখা হয়েছে। আমি বাধা দিইনি, তার সঙ্গে আমার কোনো বাকবিতণ্ডাও হয়নি। আমি বরং তাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছি। কেউ আমার নামে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।’
+ There are no comments
Add yours