বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) নির্বাচন ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত সংলাপে মোট ১৭টি লিখিত প্রস্তাব উপস্থাপন করেন গণফ্রণ্টের চেয়ারম্যান মো. জাকির হুসেন। সংলাপে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল, চার নির্বাচন নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গণফ্রন্টের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল।
প্রস্তাবগুলো হলো-
- রাজধানী ঢাকার মতো অন্যান্য বড় বড় শহরের আয়তন ও লোকসংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। জাতীয় সংসদের সীমানা পুনর্বিন্যাস করার জন্য আইনি কাঠামোর সংস্কারের যেমন প্রয়োজন রয়েছে, তেমনি বাস্তবতার নিরিখে আসন সংখ্যাও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। সংসদের আসন সংখ্যা ন্যূনতম ৩৫০/৪৫০ হতে পারে।
- মহিলা আসনে প্রতি জেলা ও প্রতি মহানগরী থেকে একজন করে মহিলা সংসদ সদস্য সংরক্ষিত মহিলা আসনে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব করছি। রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যকরী কমিটিসহ সব স্তরে ১/৩ মহিলা সদস্য রাখার বিধান চালু রাখার পাশাপাশি মহিলা আসন বৃদ্ধি করা যুক্তিযুক্ত।
- প্রত্যেকটি নিবন্ধিত দলের কাছে হালনাগাদ একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা পাঠোর ব্যবস্থা করতে হবে বিনামূল্যে অথবা নামমাত্র মূল্যে।
- একই পোস্টারে সব প্রার্থীর পরিচয় ও প্রতীক এবং একই মঞ্চে সব প্রার্থীর নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্যের ব্যবস্থা গ্রহণ।
- নির্বাচনকালীন সময় প্রার্থীর মিছিল নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে হবে, চা-নাস্তা খাওয়ানোর জন্য নির্বাচনী ক্যাম্পের সংখ্যা কমাতে হবে।
- নির্বাচনী ব্যয়ের সীমারেখা নির্ধারিত করার পাশাপাশি তা সঠিকভাবে মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সীমা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
- নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা রাখার প্রস্তাব করছি।
- স্বাধীনতা বিরোধী ব্যক্তি, বিদেশি নাগরিক, এনজিও প্রধান ও দুর্নীতির অভিযোগ সাজাপ্রাপ্ত এমন ব্যক্তির নেতৃত্বে কোনো দল যাতে নিবন্ধিত হতে না পারে এবং দলীয় প্রধান না থাকতে পারেন সে ব্যাপারে কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে।
- নির্বাচনে প্রয়োজনবোধে সেনা সদস্য মোতায়েন করতেই হবে।
- কোনো অবস্থাতেই ঋণ কর ও বিল খেলাপিকে নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়া যুক্তি যুক্ত হবে না।
- নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের রির্টার্নিং অফিসার করলে অপেক্ষাকৃত ভালো ফল পাওয়া যাবে।
- নির্বাচনে অনিয়ম হলে প্রিজাইডিং অফিসারেরর হাতে ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা দিতে হবে।
- বর্তমান সরকারকে সংবিধান সংশোধন করে হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, অরাজনৈতিক সরকার নয়, একটি নির্বাচনকালীন রাজনৈতিক সরকার অবশ্যই গঠন করতে হবে।
- নির্বাচন কমিশন একটি সার্কুলার জারি করতে পারেন যে অনিবন্ধিত দল নিবন্ধিত দলের সঙ্গে জোট করতে পারবে না।
- নির্বাচনের অন্তত ছয়মাস পূর্বে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের দলীয় প্রধানের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
- সরকার এবং বিরোধী দলের সদস্যরা সরকার কর্তৃক নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। অন্যান্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নেতাদের জন্যও বিমান/রেলওয়ের টিকিট, হাসপাতালের কেবিন, কারাগারের ডিভিশন পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের বিষয়টি বিবেচনা করার প্রস্তাব করছি।
- নতুন প্রযুক্তি দেশবাসীর কাছে সম্পূর্ণ বোধগম্য হওয়ার পূর্ব পরীক্ষামূলকভাবে স্বল্প পরিসরে ইভিএম চালু করা যেতে পারে।
+ There are no comments
Add yours