চট্টগ্রাম নগরী প্রকৃতির আশীর্বাদ। পাহাড়-নদী-সমুদ্র বেষ্টিত এমন নান্দনিক উপাদান পৃথিবীতে বিরল। চট্টগ্রামের ভূ-প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও প্রাচুর্যময় বৈচিত্রের সমন্বয়ে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
তিনি বলেন, উন্নয়ন বা নগরায়ন মানে শুধু ইট-পাথরের ইমারত নয়- উন্নয়ন ও নগরায়নের অর্থ হলো সবুজায়ন ও প্রকৃতির সাথে সমন্বয় সাধন করা।
আজ (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনে স্থপতি আশিক ইমরান এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে সুজন এ মন্তব্য করেন। এসময় নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি এ কে এম রেজাউল করিম, স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমর, স্থপতি নাজমুল লতিফ সোহাইল, স্থপতি আসাদুজ্জামান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সুুুজন বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু দুষণ বিপজ্জনক অশনি সংকেত। প্রকৃতি, পরিবেশ ও সকল প্রাণিকূলের সাথে সমন্বয় ও সহাবস্থানই আমাদের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার পূর্বশর্ত। চট্টগ্রামের ভূ-প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ও প্রাচুর্য্য সুরক্ষা করে একটি অত্যাধুনিক পরিবেশবান্ধব নগরী গড়ার মহাপরিকল্পনা সময়ের দাবী।
প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রাম যেহেতু বন্দর নগরী।এখানে অনেক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা পর্যটন খাতে। পুরোনগরীকে পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তুলতে যে উপাদানগুলো আছে তার সদ্ব্যবহার সম্ভব হলে পর্যটন খাত থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আয়ের উৎস সৃষ্টি হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সুজন মেরিন ড্রাইভ সড়কসহ বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানে পর্যটন স্পটে কটেজ ও মোটেল স্থাপনের কথাও বলেন। তিনি আরো বলেন, ফয়সলেক থেকে ভাটিয়ারী পর্যন্ত বার্ড ফিডিং বানানো হবে। তিনি নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে নকশা প্রণয়নের আহ্বান জানালে স্থপতি আশিক ইমরান প্রশাসক মহোদয়ের বক্তব্য ও নকশা প্রণয়নে সহমত পোষন করেন।
যেখানে সৌন্দর্য্যবর্ধন করা যায় সে জন্য উপযোগী নকশা প্রণয়নের কাজটি করার দায়িত্ব পালনে আগ্রহ প্রকাশ করেন স্থপতি আশিক ইমরান ।
+ There are no comments
Add yours