নারীর প্রতি সহিংসতা নারীর মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্যতম বাধা মন্তব্য করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ‘বিশ্বে প্রতি তিনজনে একজন নারী সহিংসতার শিকার। পুরুষতান্ত্রিক মন-মানসিকতা পরিবর্তনের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করতে হবে। নারীর প্রতি এ সহিংসতা রোধে নতুন আইন প্রণয়ন ও পুরাতন আইনগুলোকে সংস্কার করতে হবে এবং সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।’
আজ (মঙ্গলবার) সিরডাপ মিলনায়তনে ইউএন উইমেন-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত, সহিংসতা প্রতিরোধ এবং আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছে। এ লক্ষ্যে সরকার পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন, যৌতুক নিরোধ আইন, ডিএনএ আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০২০ প্রণয়ন করেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন বিচার ট্রাইবুনালের সংখ্যা বৃদ্ধি ও ডিজিটাল ব্যবস্থায় নারীদের নিরাপত্তার জন্য সাইবার সিকিউরিটি ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছে। সংশোধিত শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক এবং ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। আইনের কঠোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি দ্রুত নিশ্চিত হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর নারীরা জাতিসংঘের শান্তি মিশনের মাধ্যমে বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখছে। আজকের এ জাতীয় সংলাপ আমাদের সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির, অস্ট্রেলিয়ান ডেপুটি হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পল, জেন্ডার স্পেশালিস্ট শীপা হাফিজা, রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মেঘনা গুহ ঠাকুরতা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক তৌফিক ইসলাম শাতিল, ইউএনওমেন ডেপুটি কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ দিয়া নন্দা প্রমুখ।
+ There are no comments
Add yours