বিনিয়োগকারীদের মধ্যে জ্বালানির মজুত শেষ হয়ে আসার শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ায় বুধবার (২৭ জুলাই) পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে।
সোম ও মঙ্গলবার দুদিন উত্থানের পর আজ দুই বাজারে বড় দরপতন হলো। কমেছে লেনদেন ও অধিকাংশ শেয়ারের দাম।
বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ার বিক্রির চাপে দিনভর সূচক পতন হয়েছে। এদিন ২৩ কোটি ৬২ লাখ ৮২ হাজার ৫৫টি শেয়ার কেনা-বেচা হয়েছে। মোট লেনদেন হয়েছে ৭৭৮ কোটি ৪৩ লাখ ১৮ হাজার টাকার শেয়ার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮৩৮ কোটি ৫ লাখ ১৭ হাজার টাকার শেয়ার। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭০ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ৮০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ বাজারে ২৭৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২১৯টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ২৭ হাজার ৪৬৪ টাকার শেয়ার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২০ কোটি ৯৮ লাখ ৬৩ হাজার ৮৯১ টাকার শেয়ার।
দরপতন ঠেকাতে ফোনকলের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির পক্ষ থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিভিন্ন ব্রোকার হাউজের মালিক, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ডিএসই ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের কল করে শেয়ার কিনতে বলা হয়। কিন্তু তাতে দরপতন ঠেকানো সম্ভব হয়নি।
+ There are no comments
Add yours