ভাইরাল হেপাটাইটিস সংক্রমণ প্রতিরোধে জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রে সবাইকে যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস-২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান।
বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস-২০২২’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ভাইরাল হেপাটাইটিস প্রতিরোধে এবারের বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘হেপাটাইটিস, আর অপেক্ষা নয়’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।
রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস-২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
অন্যদিকে দেশে হেপাটাইটিস প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যক্তি, সংস্থা, প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার পাশাপাশি এ ব্যাধি মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং হেপাটাইটিস প্রতিরোধে আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করেছি ও এই নীতির বাস্তবায়ন করছি। আমরা নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল এবং হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। সাধারণ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ও চিকিৎসাসেবা বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়েছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা দিতে সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। আমাদের নেওয়া নানামুখী পদক্ষেপে স্বাস্থ্যখাতে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে হ্রাস পেয়েছে, বেড়েছে দেশের মানুষের গড় আয়ু।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস ২০২২ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
+ There are no comments
Add yours