আজ বিশ্ব বাঘ দিবস, সুন্দরবনে বাঘ বাড়ার সম্ভাবনা

Estimated read time 1 min read
Ad1

আজ বিশ্ব বাঘ দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বাঘ আমাদের অহঙ্কার রক্ষার দায়িত্ব সবার’

২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর ২৯ জুলাই দিবসটি বিশ্বজুড়ে পালিত হয়।

বিশ্বের ১৩টি দেশে টিকে আছে বাংলাদেশের জাতীয় প্রাণি রয়েল বেঙ্গল টাইগার। ২০১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী, সুন্দরবনে ১১৪ বাঘ রয়েছে। প্রাণিটি রক্ষায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বানে নানা আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করছে বন অধিদফতর।

বন বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ বাঘ জরিপে সুন্দরবনে ১০৬ থেকে বেড়ে বর্তমানে বাঘের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৪টিতে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের জরিপে সুন্দরবনে বাঘ ছিল ৩৫০টি এরপর ১৯৮২ সালে জরিপে ৪২৫টি ও এর দুই বছর পর ১৯৮৪ সালে সুন্দরবন দক্ষিণ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের ১১০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় জরিপ চালিয়ে ৪৩০ থেকে ৪৫০টি বাঘ থাকার কথা জানানো হয়। ১৯৯২ সালে ৩৫৯টি বাঘ থাকার তথ্য জানায় বন বিভাগ। পরের বছর ১৯৯৩ সালে সুন্দরবনের ৩৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় প্যাগমার্ক পদ্ধতিতে জরিপ চালিয়ে ধন বাহাদুর তামাং ৩৬২টি বাঘ রয়েছে বলে জানান। ২০০৪ সালে জরিপে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০টি। ১৯৯৬-৯৭ সালের জরিপে বাঘের সংখ্যা উল্লেখ করা হয় ৩৫০টি থেকে ৪০০টি। ওই সময়ে বাঘের পায়ের ছাপ পদ্ধতিতে গণনা করা হয়। ২০১৫ সালের জরিপে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা আশংকাজনক হারে কমে দাঁড়ায় ১০৬টিতে। হঠাৎ করে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা ৪০০টি থেকে ১০৬টিতে এসে দাঁড়ালে সারা বিশ্বে হইচই পড়ে যায়।

বাঘের মৃত্যুর বিষয়ে বন বিভাগের তথ্য থেকে জানা যায়, ২০০১ সাল থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ৪৬টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে আটটি বাঘের, বিভিন্ন সময় দুষ্কৃতকারীদের হাতে ১৩টি, লোকালয়ে আসায় গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে পাঁচটি বাঘের। ২০০৯ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে মৃত্যু হয়েছে একটি বাঘের। এছাড়া বিভিন্ন সময় চোরা শিকারি কর্তৃক মেরে ফেলা ১৯টি বাঘের চামড়া উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৬ ও বন বিভাগ। বন বিভাগের হিসেব অনুযায়ী সর্বশেষ জরিপের পরে অন্তত আটটি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours