বাগেরহাটে মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় মাদক কারবারিদের হামলার শিকার হয়েছেন দুই ইউপি সদস্যসহ অন্তত ৮ জন।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) কচুয়া উপজেলার লড়ারকুল বাজার সংলগ্ন মাধবকাঠির ধোপাখালী ইউনিয়নের দুই ইউপি সদস্য ও স্থানীয়দের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের আহত করা হয়।
হামলায় ৩টি মোটরসাইকেল ও একটি দোকান ভাঙচুর এবং নগদ অর্থ লুটপাট করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
আহতরা হলেন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও ৪ নং (মাধবকাঠি) ওয়ার্ডের সদস্য জাকির হাজরা (৩৫),এবাদুল হাওলাদার (২৮), ব্যবসায়ী সেলিম হাজরা (৪৫), ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মামুনুর রশীদ (৩২), স্থানীয় হেদায়েত হাজরা (৪২), রাজিব (১৭), জাহাঙ্গীর হাজরা (২৭) ও আতিয়ার রহমান (৩৭)।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হামলায় ধোপাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনের ছেলে শাহিন, শ্রমিক লীগ নেতা মাসুদ হাওলাদার ও সাইদুল মাঝির নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন অংশ নেয় বলে জানিয়েছেন আহত ইউপি সদস্য জাকির হাজরা।
এ সময় সেলিম হাজরার দোকান থেকে নগদ এক লাখ ১৫ হাজার এবং আরও তিনজনের কাছ থেকে নগদ দুই লাখ টাকা তারা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন ইউপি সদস্য।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন।
কচুয়ার ধোপাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আব্দুল হাই বলেন, যারা হামলা করেছে তারা শ্রমিক লীগ করে। এ ধরনের হামলা দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এ ঘটনার তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
+ There are no comments
Add yours