প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৮৮ রান করেও ১৭ রান হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩৬ রান তুলেই মিলেছে সহজ এক জয়। পারফরম্যান্সের ওঠানামায় বাংলাদেশের পারফরম্যান্সেও থাকলো পরিবর্তনের ছাপ।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ম্যাচসেরা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের স্পিন ঘূর্ণিতে এলোমেলো হয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ৩১ রানে ৫ উইকেটে হারানো দলকে পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে যান সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্ল। তাদের ব্যাটে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান তোলে স্বাগতিকরা। জবাবে লিটন কুমার দাসের হাফ সেঞ্চুরি ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর ব্যাটে ১৭.৩ ওভারে ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমেও বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যর্থ মুনিম শাহরিয়ার। দলীয় ৩৭ রানে ফিরে যান ডানহাতি এই ওপেনার, ৭ রান করেন তিনি। উইকেটে হারানোর প্রভাব অবশ্য বাংলাদেশের ইনিংসে পড়েনি। শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা লিটন ও এনামুল হক বিজয় দ্বিতীয় উইকেটে ৩১ রানের জুটি গড়ে দলকে অনেকটাই এগিয়ে দেন।
বল হাতে মোসাদ্দেক হোসেনের পাঁচ উইকেট শিকারে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। সিকান্দার রাজার ৬২ রানের ইনিংস স্বত্বেও নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৫ রান সংগ্রহ করে তারা। জবাবে লিটন দাসের ৩৩ বলে ৫৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ১৫ বল হাতে রেখেই সাত উইকেটে জয় পায় সফরকারী বাংলাদেশ।
এদিন দুটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদ ও তাসকিন আহমেদের জায়গায় সুযোগ পান মেহেদী হাসান ও হাসান মাহমুদ। টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে জিম্বাবুয়ে শিবিরকে একাই কাঁপিয়ে দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ২০ রান দিয়ে তিনি নেন ৫ উইকেট।
ইনিংসের প্রথম ওভারে দুটি উইকেট নেন সৈকত। প্রথম বলে রেগিস চাকাভাকে গোল্ডেন ডাকে ফেরানোর পর ওভারের শেষ বলে সৈকত তুলে নেন ওয়েসলে মেধভেরের উইকেট। নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবার বোলিংয়ে এসে সৈকত ফিরিয়ে দেন ক্রেগ আরভিনকে। আরভিন ক্যাচ দেন লিটন দাসকে। তিনি নেন শন উইলিয়ামস ও মিল্টন শুম্বার উইকেটও। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করেন উইলিয়ামসম, তা-ও সেটা ৮।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি একই ভেন্যতে অনুষ্ঠিত হবে ২ আগস্ট।
+ There are no comments
Add yours