এবন্যাজনিত কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় (এক দিনে) আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এ সময়ে নতুন করে ৪৫৮ জন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
বন্যায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে এবং বন্যা সৃষ্ট দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৫ জনে। এছাড়া বন্যায় এ পর্যন্ত সারাদেশে পানিবাহিতসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ২৬৮ জন।
রোববার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন জেলায় এখন পর্যন্ত ১৩৫ জন মারা গেছেন। সিলেট বিভাগেই ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট সদর উপজেলায় ২০, সুনামগঞ্জে ২৯, মৌলভীবাজারে ১৮ ও হবিগঞ্জে ৮ জন মারা গেছেন।
ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইলে বন্যায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগে বন্যাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের। এর মধ্যে ময়মনসিংহে ৬, নেত্রকোণায় ২০, জামালপুরে ১০ ও শেরপুরে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া রংপুর বিভাগে এখন পর্যন্ত বন্যায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে ৫ ও লালমনিরহাটে ১১ জন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত ১৭ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৩৩৯ জন। যার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৪৪৮ জন, এ রোগে কারো মৃত্যু হয়নি।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বন্যাকবলিত এলাকায় বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ জন, তাদের মধ্যে ১৬ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনে ৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন, দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ১০৭ জনের।
চর্মরোগে তিন হাজার ৪৭১, চোখের প্রদাহজনিত রোগে ৪৫৬ ও নানাভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন ৭৯২ জন। এছাড়া অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৩৯ জন এবং তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৯ জন।
+ There are no comments
Add yours