শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন আজ। ১৯৭৫ সালের এ মাসেই (১৫ আগস্ট) বাঙালি হারায় তাদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এছাড়া ২০০৪ সালের এ মাসেই গ্রেনেড হামলা করে (২১ আগস্ট) জাতির জনকের কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। নিহত হন জ্যেষ্ঠ নেতা আইভি রহমানসহ অনেক নেতাকর্মী। তাই আগস্ট আওয়ামী লীগসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে শোকের মাস।
সারাদেশে শোকাবহ আগস্টের নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। প্রথম প্রহরে মোমবাতি জ্বালিয়ে শোকের মাসকে বরণ করে নিচ্ছেন হাজারো নেতাকর্মী। কিন্তু এরই মাঝে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। শোকের মাসে প্রবেশের ১০ মিনিট আগেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ থেকে সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সাক্ষরিত ৪টি শাখা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শাখাগুলো হলো: চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ(পূর্ণাঙ্গ), কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা(পূর্ণাঙ্গ) এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। এছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মেলনের তারিখ(৩ সেপ্টেম্বর) নির্ধারণ করে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটি প্রকাশের ধারাবাহিকতায় পিছিয়ে নেই চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ। নগরীর সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর সাক্ষরিত ডবলমুরিং থানার পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করেছে মহানগর ছাত্রলীগ। একই শাখার সহ-সম্পাদক সাক্ষরিত মুসলিম হাই স্কুল ছাত্রলীগের এক কমিটি প্রকাশিত হয়েছে।
কমিটি পেয়ে কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস, উল্লাস উদ্দীপনার শেষ নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে অভিনন্দন বার্তা। শোকের মাসে এমন উল্লাস কতটা যুক্তিগত তা নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা।
এর আগে ২৭ জুলাই(বৃহস্পতিবার) থেকে ছাত্রলীগের ৪ জেলা, ৪ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ও একটি উপজেলা শাখা কমিটির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। শাখাগুলো হলো: লক্ষীপুর, নরসিংদী, ঝিনাইদহ, নড়াইল জেলা। এছাড়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত বাঞ্চারাম্পুর উপজেলা, পৌরসভা, কলেজ শাখাসমূহ।
শোকের মাসের শুরুতেই দলীয় সংগঠনের নেতাকর্মীদের এমন উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও রাজনৈতিক মহলে।
+ There are no comments
Add yours