দুঃসহ সেই রাতের বর্ণনা দিলেন ভুক্তভোগী নারী

Estimated read time 1 min read
Ad1

আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের শিকার সেই নারী। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুমি খাতুন।

জবানবন্দি গ্রহণের পর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদল কুমার চন্দের আদালতে নেওয়া হয় ওই নারীকে। আদালত তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তিনি জানিয়েছেন, তাকে ৬ ডাকাত পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। গলা চেপে ধরে তাকে মারধরও করে তারা। তিনি ছাড়া আরও এক নারীকে ওই বাসে নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানান ওই নারী।

তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১১টায় বাসটি সিরাজগঞ্জে একটি হোটেলে পৌঁছায়।সেখানে খাওয়ার বিরতি দেওয়া হয়। বিরতি শেষে রওনা হওয়ার ৫ মিনিট পর রাস্তা থেকে ২০ থেকে ২২ বছর বয়সী ৩ জন বাসে ওঠে।

তারা জানায়, সামনে তাদের আরও লোক আছে, তারাও বাসে উঠবে। কিছু দূর যাওয়ার পর ৪ জন ওঠে। তাদের মধ্য একজন বলে, ‘আমার লোক আছে আরও।’ একটু পর আরও ৬ জন ওঠে। এভাবে মোট ১৩ যুবক বাসে ওঠে। তারা বাসের পেছনের দিকে বসে।

তিনি জানান, ডাকাতদের একজন তার পাশে বসতে চায়। কিন্তু বাসের সুপারভাইজার তাকে উঠিয়ে দেন। পরে কাছের একটি সিটে বসে সে। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর তাদের মধ্যে ৩ জন চালকের পাশের বনেটে গিয়ে বসে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে একজন চালককে উঠিয়ে গাড়ি চালানো শুরু করে। পরে বাসের চালক ও সুপারভাইজারকে তারা পেছনে নিয়ে আসে। এরপর প্রথমে পুরুষ যাত্রীদের হাত, মুখ ও চোখ বাঁধা হয়। এরপর মেয়েদেরও বেঁধে ফেলা হয়। মুঠোফোন, গয়না, টাকা- সব লুট করে নেয় তারা। অনেক যাত্রীকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে ডাকাত দলের ছয়জন তাকে ধর্ষণ করে।

তিনি জানান, এরপর বিভিন্ন জায়গায় গাড়ির গতি কমতে থাকে এবং ডাকাতরাও নামতে থাকে। এক পর্যায়ে চালক গাড়ির জানালা দিয়ে নেমে যায়। ফলে গাড়িটি রাস্তার পাশে গিয়ে পড়ে যায়।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours