
জিম্বাবুয়ের অনভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে ঝুঁকি এড়াতে একাদশে ৮ ব্যাটসম্যান। কোনো বাঁহাতি স্পিনার ছাড়াই মাঠে বাংলাদেশ দল।
তার মাশুলই দিয়ে দুই ডানহাতি ইনোসেন্ট কাইয়া আর সিকান্দার রাজার ব্যাটে দিশেহারা টাইগাররা। দুইজনই সেঞ্চুরি তুলে নেন।
তাদের ১৯২ রানের জুটির কল্যাণে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর এবার ওয়ানডে ফরম্যাটের শুরুটাও হার দিয়ে হলো বাংলাদেশের।
হারারেতে আগে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রানের পুঁজি পায় সফরকারীরা। তাদের ইনিংসের শুরু আর শেষে রান তোলার গতি কম থাকায় সংগ্রহ আর বেশি বড় হয়নি। ৩০৪ রান টপকাতে হলে রেকর্ড গড়তে হতো জিম্বাবুয়েকে। টাইগারদের বিপক্ষে ২৬১ রানের বেশি করে জয়ের রেকর্ড ছিল না তাদের। নিজেদের দিনে রাজা আর কাইয়ার শতকে রেকর্ড গড়েই জিতল তারা। ৫ উইকেট ও ১০ বল হাতে রেখে ৯ বছর বা ১৯ ম্যাচ পর বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেল জিম্বাবুয়ে।
এদিন স্ট্রাইক রেটের দিক দিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ ব্যাটিংয়ের সঙ্গে কাঠগড়ায় বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং বিভাগ। একাধিক ক্যাচ যেমন হাত গলেছে, তেমনি সহজ স্টাম্পিংয়ের সুযোগও নষ্ট হয়েছে। বোলাররাও চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি। মোসাদ্দেক, শরিফুল, মিরাজরা ছিলেন ধারহীন। ম্যাচ হেরে তারই খেসারত দিতে হলো সফরকারী বাংলাদেশ দলকে। ওয়ানডেতে দাপট দেখানো দলটাই হেরে বসল তুলনামূলক খর্ব শক্তির জিম্বাবুয়ের কাছে।
অথচ পাহাড়সম রানের টার্গেট দিয়ে বল হাতেও দাপুটে শুরু ছিল বাংলাদেশের। প্রথম দুই ওভারেই প্রতিপক্ষকের দুই ওপেনারকে তুলে নেন মুস্তাফিজ ও শরিফুল। প্রথম ওভারের শেষ বলে চাকাভাকে বোল্ড করেন মুস্তাফিজ। ব্যাক অফ লেন্থের বল কাভারে খেলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বল ব্যাটের নিচে লেগে ভেঙে দেয় উইকেট। ৬ বলে ২ রান করেন চাকাভা। পরের ওভারের পঞ্চম বলে তারিসাই মুসাকান্দাকে সাজঘরে ফেরান শরিফুল। ৫ বলে ৪ রান করেন মুসাকান্দা।
চতুর্থ উইকেটে দলকে টেনে তোলার পাশাপাশি ব্যাট হাতে বাংলাদেশ দলের বোলারদের শাসন করেন কাইয়া আর রাজা। দুইজনই তুলে নেন অর্ধশতক, সেই ফিফটিকে পরে রূপ দেন শতকে। যদিও তাদের এমন ইনিংস বড় করতে দেওয়ার জন্য ক্যাচ ছেড়ে আর স্টাম্পিং মিস করে আবদান রাখেন সফরকারী ফিল্ডাররা। শতকের দৌড়ে এগিয়ে কাইয়া। ১১৫ বলে শতকের দেখা পান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার সেঞ্চুরির ইনিংস সাজানো ছিল ১১ চার ও ১ ছয়ে।
যদিও শতকের পর ইনিংসটা বেশি টানতে পারেননি এই ডানহাতি। ইনিংসের ৪২তন ওভারে মোসাদেককে স্লগ করতে গিয়ে ফাইন লেগে ধরা পড়েন শরিফুলের হাতে। এর আগে শরিফুলের ১ ওভারেই দুই জীবন পেয়েছিলেন তিনি। ১২২ বলে ১১ চার ২ ছয়ে ১১০ রানের ইনিংস খেলেন কাইয়া। তবে সতীর্থকে হারানোর আগেই সেঞ্চুরি পেয়ে যান রাজাও। তার আগ্রাসী শতক আসে ৮১ বলে।
পরে রাজার ১০৯ বলে হার না মানা ১৩৫ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ৫ উইকেট আর ১০ বল হাতে রেখে ৩০৪ রানের লক্ষ্য টপকে রেকর্ড গড়া জয় পায় জিম্বাবুয়ে। ফর্মের তুঙ্গে থাকা নিজের ইনিংসটি সাজান ৮টি চার ও ৬টি ছয়ের মারে।
+ There are no comments
Add yours