কয়েকদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বাসিন্দারা বলছেন, দিনে কেবল দু-একবার পানি আসে, সারাদিন আর পানি থাকে না।
ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, তাদের দৈনিক পানির চাহিদা ২৬৫ কোটি লিটার। এর ৬৪ শতাংশ আসে ভূগর্ভের পানি থেকে। পানির স্তর বেশ নিচে চলে যাওয়ায় প্রায় এক হাজার ফুট নিচ থেকে পানি তুলতে হচ্ছে ঢাকা ওয়াসাকে। রূপগঞ্জের গন্ধবপুর পানি শোধনাগার চালু হলে ভূগর্ভের পানির ওপর নির্ভরতা প্রায় ৩০ শতাংশ কমে আসবে।
রাজধানীর কুড়িল, বিশ্বরোড, ভাটারা নূরের চালা, উত্তর বাড্ডা, মধ্য বাড্ডা, মেরুল ডিআইটি, কালাচাঁদপুর, মিরপুর, আগারগাঁও, রায়েরবাজার এলাকায় পানির এ সমস্যা বেশি বলে জানা গেছে।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, কিছু কিছু এলাকায় পানির সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে ঢাকায় ৮০০টির বেশি পাম্পের মধ্যে ১০০টির বেশি পাম্পে বোরিং (গভীরে পাইপ বসানো) করাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
বোরিং কাজ শেষ হলে পানির সমস্যার সমাধান হবে অনেকটাই। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গন্ধবপুর পানি শোধনাগার চালু হলে ভূগর্ভের পানির ওপর নির্ভরতা অনেকাংশে কমে আসবে।
রাজধানীর বাড্ডার কুমিল্লা পাড়া এলাকায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানি নেই। এ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা লাল মিয়া বলেন, বেশ কদিন হয়ে গেল এ এলাকায় পানি নেই। প্রতিদিন দু-এক বার করে পানি আসে। তা দিয়েই সব কাজ করতে হয়।
এ বিষয়ে ওয়াসার আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে আমরা বোরিং করে পাম্পগুলোতে আরও পাইপ বসাচ্ছি। এ কাজ শেষ হলে আশা করা যায়, পানির সংকট আর থাকবে না।
বর্তমানে ৮০০টিরও বেশি পাম্প রয়েছে। এর মধ্যে ১০০টির বেশি পাম্পে বোরিং করানোর কাজ হচ্ছে। এই কাজ শেষ হলে আশা করা যায় নির্দিষ্ট এলাকাগুলোতে পানির সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
+ There are no comments
Add yours