সংকটে দিনদিন বাড়ছে ডলারের দাম, পতনে টাকার মান। দাম বাড়ায় এ ধারায় কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে সোমবার (৮ আগস্ট) ডলার কিনতে গ্রাহককে গুণতে হচ্ছে ১১৪ থেকে ১১৫ টাকা (১ ডলার)।
খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১৩ টাকা থেকে ১১৫ টাকা ৫০ পয়সায়। রোববার (৭ আগস্ট) যা ছিল ১১০ থেকে ১১১ টাকা।
পাইনিওর এক্সচেঞ্জ হাউজে ডলারের দাম আজকে সর্বোচ্চ ১১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে এখন ডলার নেই। অন্য হাউজ থেকে এনে দিতে হবে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতেও ১০৭ থেকে ১০৮ টাকা পর্যন্ত দামে নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১১৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে নতুন অর্থবছরের প্রথম ৩৩ দিনে (২ আগস্ট পর্যন্ত) ১২৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
রিজার্ভ থেকে ধারাবাহিক ডলার বিক্রির কারণে ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত। রোববার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৯ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা দরে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক আজ সরকারি আমদানি বিল মেটাতে এই দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ৭৯ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। নিয়ম অনুযায়ী এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর। গত মে মাসের শুরুর দিকে এ দর ছিল ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্যাংকগুলোতে এখন আমদানির জন্য ১০০ টাকার নিচে ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১০৭ থেকে ১০৯ টাকায় ডলার কিনে আমদানি দায় মেটাতে হচ্ছে। রেমিট্যান্সের জন্যও ব্যাংকগুলোকে সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা দরে ডলার কিনতে হচ্ছে।
এদিকে ডলারের কারসাজি রোধে খোলাবাজার ও এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত সপ্তাহ পর্যন্ত কারসাজির অপরাধে পাঁচ মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি ৪২টিকে শোকজ করা হয়েছে।
এছাড়া লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করায় ৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours