ভোট বাতিলের ক্ষমতা চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে ইসির প্রস্তাব

Estimated read time 1 min read
Ad1

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মপরিকল্পনাগুলো ভেটিংয়ের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংস্কারের প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।

ভোটের দিন থেকে ফল গেজেটে প্রকাশ পর্যন্ত যেকোনো মুহূর্তে ভোট বাতিল, পোলিং এজেন্টদের সুরক্ষা, অনিয়মে জড়িত নির্বাচনী কর্মকর্তা ও প্রভাব বিস্তারকারী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা, নারী প্রতিনিধিত্বের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ২০৩০ সাল সময়, গঠনতন্ত্র সংশোধনের সময় কমিয়ে এক মাস করার প্রস্তাবনাগুলো আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, আরপিও-এর ৭, ১২, ১৫, ২৫, ৩১, ৩৬, ৪৪, ৮৪, ৯০, ৯১ অনুচ্ছেদসহ বেশ কিছু ধারা-উপধারায় সংযোজন-বিয়োজন ও করণিক সংশোধনী প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে। এছাড়া, ভোট নিয়ে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে যেকোনো মুহূর্তে ভোট বাতিলের ক্ষমতা চাইছে নির্বাচন কমিশন।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বলেন, ভোটের সময় কোনো অভিযোগ পেলে কমিশন খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে পারে বিদ্যমান আইনে। এখন ভোটের সময়ের পরে থেকে ফলাফল প্রকাশের পর, এমনকি গেজেট প্রকাশের আগে নির্বাচনের যেকোনো পর্যায়ের অভিযোগ কমিশন তদন্ত করে অনিয়মের প্রমাণ পেলে ভোট বাতিল করতে পারবে। ৯১ অনুচ্ছেদে দুটি উপধারা সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দায়িত্বশীল কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার অবহেলা বা দায়ীদের পাশাপাশি প্রভাব বিস্তারকারীদের সাজার প্রস্তাব; ভোট গণনার বিবরণী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও এজেন্টদের দেওয়া বাধ্যতামূলক করা; প্রার্থীদের আয়কর সনদ জমা দেওয়া এবং মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন খেলাপি বিল ও ঋণ পরিশোধ করেই প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে প্রস্তাবে।

এছাড়া নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সব স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব রাখার প্রতিশ্রুতি ২০২০ সালে শেষ হয়েছ। নিবন্ধন শর্ত প্রতিপালনে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় দলগুলোকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় দিতে খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দলের সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমার সময় এক বছর থেকে কমিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে জমার বিধান রাখা হয়েছে।

কর্মকর্তারা আরও জানান, বেশ কিছু প্রস্তাব থাকলেও ব্যাংক ও সেবা সংস্থার প্রতিনিধিদের আপত্তি থাকায় ঋণ ও বিল খেলাপিদের আরও ছাড়ে সুপারিশ করতে পারেনি ইসি। ১৯৭২ সালে দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার- আরপিও শীর্ষক নির্বাচনী আইনটি (১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নং- ১৫৫) ইংরেজিতে প্রণয়ন করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours