লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা মহিলা কলেজের এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ভারতে পাচার করা হয়েছে। প্রেম করে বিয়ে করতে গিয়ে অপহরণের পর পাচারের শিকার হন ওই কলেজছাত্রী।
এ ঘটনার সঙ্গে প্রেমিক তিলক ও তার কয়েকজন বন্ধু জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী। তিনি বলেন, বিয়ের পর তাকে ভারতে পাচার করা হয়। একই সঙ্গে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের এক পুলিশ সদস্যও জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
ওই কলেজছাত্রীকে ইতোমধ্যে তার পরিবারের সহযোগিতায় ভারতীয় পুলিশ উদ্ধার করেছে। আটক করা হয়েছে ওই প্রতারক তিলককেও। মেয়েকে উদ্ধার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে ভারতীয় পুলিশ।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর অপহরণের শিকার হন ওই কলেজছাত্রী। অপহরণের পর হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলাও দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বড় ভাই কামরুজ্জামান লুলু। ওই মামলায় হাতীবান্ধা উপজেলার গেন্দুকুড়ি এলাকার ধনঞ্জয়ের পুত্র তিলকসহ ৫ জনকে আসামি করা করা হয়।
কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতীবান্ধা থানার উপপরিদর্শক সুকুমার রায় ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার না করে ২ আসামিকে বাদ দিয়ে ইতোমধ্যে চার্জসিট আদালতে জমা দিয়েছেন
অপহরণের পর পাচারের শিকার ওই কলেজছাত্রীর দাবি, তাকে ভারতে পাচারের বিষয়ে সবকিছু জানেন উপপরিদর্শক সুকুমার রায়। পাচারের সঙ্গে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত। ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার পরিচিত একজনের ফোনে কথা বলার সময় এমন দাবি করেন তিনি।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, পুরো বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। সত্যতা যাচাই করার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
+ There are no comments
Add yours