নুরুল আবছার নূরীঃ অসহনীয় লোডসেডিংএর কবলে ফটিকছড়ির প্রায় ৭লক্ষ অধিবাসী। অনুসন্ধানে জানাগেছে ফটিকছড়িতে বর্তমানে দৈনিক ১০/১২ঘন্টা পর্যন্ত লোডশেডিং করা হচ্ছে।
এতে করে মানুষের ব্যবসা বানিজ্য অফিস আদালতের কাজকর্ম থেকে শুরু করে ফটিকছড়ির শত শত পোল্ট্রি ও ডেইরি ফার্ম ব্যাপক বির্যয়ের দিকে এগুচ্ছে। সেই সাথে বাসা বাড়িতে থাকা লোকজনের অবস্থা তো দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে।
অপরদিকে চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর লেখা পড়া। এব্যাপারেফটিকছড়ি সদর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে খোঁজ নিতে গেলে উক্ত অফিসের সদ্য যোগদানকৃত ডিজিএম মো.আব্দুস সালাম এ প্রতিবেদককে তথ্য প্রকাশ করে বলেন, ফটিকছড়ি সদর অফিসের আওতায় ৫৭ হাজার মিটার হোল্ডারের বিপরীতে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৩মেঘাওয়াট, কিন্তু হাটহাজারীস্থ পিডিবির পাওয়ার স্টেশান থেকে সাপ্লাই দেওয়া হচ্ছে গড়ে ৬ মেঘাওয়াট(পিক আওয়ারে) ১৩মেঘাওয়াটের বিপরীতে ৬মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ দেবার ফলে এ অফিসের আওতাধীন অর্ধেকেরও বেশি এলাকা অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকতে হয়।
এরপর নাজিরহাট এলাকায় ৩০হাজার মিটার হোল্ডারের জন্য ৮ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ চহিদার বিপরীতে হাটহাজারী থেকে সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে সাড়ে ৩ মেঘাওয়াট।
ফলে সেখানেও অর্ধেকের বেশি এলাকা ঘন্টার পর ঘন্টা অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকছে। এরপর উত্তর ফটিকছড়ির দাঁতমারা সাবস্টেশনের আওতায় ৪১ হাজার ৫শ গ্রাহকের ৮ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে সেখানে মিরেশ্বরাই সাবস্টেশন থেকে দেওয়া হচ্ছে সাড়ে ৩ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ।
কাজেই এসব এলাকায় লোডশেডিংএর অবস্থা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। অপরদিকে দক্ষিণ ফটিকছড়ির আজাদী বাজার অফিসে ৩৫ হাজার মিটার হোল্ডারের চাহিদা ৯ মেঘাওয়াট, সেখানে সরবরাহ পাচ্ছে ৭ মেঘাওয়াট।
এখানের অবস্থা পুরো ফটিকছড়ির থেকে তুলনামূলক ভালো বলা যায়। এর কারন হচ্ছে মদুনাঘাটে তাদের নিজস্ব পাওয়ার জেনারেট হচ্ছে বলে ডিজিএম আব্দুস সালাম জানান।
সব মিলিয়ে পুরো ফটিকছড়িতে এক লাখ ৬৩হাজার মিটার হোল্ডারের জন্য বিদ্যুতের গড় চাহিদা হচ্ছে ৩৮ মেঘাওয়াট। অথচ তার বিপরীতে সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে ২০ মেঘাওয়াট।
ফলে দৈনিক ১৮ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ পুরো ফটিকছড়িতে কম দেওয়া হচ্ছে। এতে করে ফটিকছড়িতে দৈনিক ১০-১২ ঘন্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। এমন লোডসেডিং নিয়ে ফটিকছড়িতে জনমনে প্রচন্ড ক্ষোভ তৈরী হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ডিজিএম আব্দুস সালামের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ তো বিদ্যুৎ উৎপাদন করেনা। আমরা তো চাই গ্রাহকের সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে।
কিন্তু পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ না পেলে আমাদের করার কি আছে। এব্যাপারে যথাযথ কতৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী বলে সচেতন মহলের অভিমত।
+ There are no comments
Add yours