ইউরো, পাউন্ড ও ইয়েনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী মুদ্রার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা ডলার।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারে গত দু’দিন ধরে দরপতন ঘটছে ডলারের।
বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান ট্রেডিং আওয়ার্স সূচক বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, বৈশ্বিকভাবে দশমিক ২ শতাংশ কমেছে ডলারের দাম। তার আগের দিন বুধবার এই পতনের হার ছিল ১ শতাংশ, যা গত ৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পতন।
ডলারের এ পতনের মূল কারণ যুক্তরাষ্ট্রে মাসের পর মাস ধরে চলা ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি। গত জুন মাসে মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেশটির অভ্যন্তরেই ডলারের মান ১ দশমিক ৩ শতাংশ পড়ে গিয়েছিল। সেই অবস্থার কোনো উন্নতি এখন পর্যন্ত হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের কমার্সব্যাংক বৃহস্পতিবার এক বার্তায় বলেছে, ‘বুধ ও বৃহস্পতিবারের তথ্য স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে দেশে মুদ্রাস্ফীতি এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের (যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক) উচিত ডলারের মূল্য বাড়ানো ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া।’
বুধাবার ডলারের বিপরীতে ইউরোর মান বেড়েছে ৩ শতাংশ ও ইয়েনের দাম বেড়েছে দশমিক ২ শতাংশ। পাউন্ডের দাম অবশ্য এ দিন ডলারের বিপরীতে দশমিক ২ শতাংশ কমেছে, তবে আগের দিন বুধবার মার্কিন মুদ্রার বিপরীতে ব্রিটেনের মুদ্রার দর বেড়েছিল পুরো ১ শতাংশেরও বেশি।
+ There are no comments
Add yours