নাটোরের কলেজ ছাত্র মামুনকে বিয়ে করে সুখের সংসার গড়া গুরুদাসপুরের খুবজীপুর ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা খায়রুন নাহার (৪৪) আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ সকাল ৭টার দিকে নাটোর শহরের ভাড়া বাসা থেকে গলায় ওড়না পেচানো মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। স্বামী কলেজ ছাত্র মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
স্বামী মামুন জানান, ভোর ৪টার দিকে বাইরে থেকে এসে দেখি ঘরের দরজা খোলা। পরে দেখি ওড়না দিয়ে পেচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। ওড়না কাটার জন্য তাৎক্ষণিক ছুরি বা বটি না পাওয়ায় পকেটে থাকা ম্যাচলাইট দিয়ে ওড়নার মাঝখানে পুড়িয়ে লাশ নামিয়েছে সে।
মামুন আরও জানায়, তার স্ত্রী সহকারী অধ্যাপিকা খাইরুন নাহার বেতন পেতো ৩৫ হাজার টাকা। বিভিন্ন জায়গায় লোন পরিশোধ করে হাতে পেতো ৮ হাজার টাকা। গতকাল খাইরুন নাহারের আগের সংসারের ছেলে এসে ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। বাকী ৩ হাজার টাকার মধ্যে বাড়িতে ছিলো মাত্র ১ হাজার টাকা।
পুলিশের ধারণা, এরকম তথ্যাদি সহ পারিপার্শ্বিক অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনা করলে মৃত্যুর রহস্য খুঁজে পাওয়া যাবে।
এ ব্যাপারে ডিবি পুলিশ সহ আইন প্রয়োগকারী অন্যান্য টীম কাজ শুরু করেছে। কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা খাইরুন নাহার ও এন এস কলেজের ডিগ্রি ২য় বর্ষের ছাত্র মামুনের অসম প্রেম ও অতঃপর বিয়ের ঘটনা ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। বিয়ের পর সবেমাত্র ছয় মাস পার হলো তাদের সংসার। তবে শেষ পর্যন্ত একটি মৃত্যু দিয়ে পরিসমাপ্তি ঘটলো তাদের প্রেমের সংসার। বয়সে ২০ বছরের ছোট কলেজ ছাত্র মামুনকে বিয়ে করে ভাইরাল হওয়া কলেজ শিক্ষিকা এখন কেবলই ইতিহাস।
+ There are no comments
Add yours