চাঁদা দাবির অভিযোগে মিরসরাই ছাত্রলীগের আহ্বায়কের বিরুদ্ধে মামলা

Estimated read time 1 min read
Ad1

চাঁদা দাবিসহ একাধিক অভিযোগ এনে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. মাসুদ রানাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন সাবিনা ইয়াসমিন নামে এক নারী।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন— মো. তুরিন, ইউসুফ, মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. মাসুদ রানা, আবিব, সোহেল মেম্বার ও হাসান। মামলায় দুই-তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) মিরসরাই থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার বাদী নারী বড়তাকিয়া চক্ষু হাসপাতালের মালিক মো. জসিম উদ্দিনের স্ত্রী।

তবে অভিযুক্ত মাসুদ রানা দাবি করছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। তাকে ফাঁসানোর জন্য মামলার আসামি করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মাসুদ রানাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ এসেছে। আমরা অভিযোগটি নিয়েছি। এখন তদন্ত করে দেখতে হবে, অভিযোগ ঠিক আছে কি না। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার বাদী সাবিনা ইয়াসমিনের স্বামী মো. জসিম উদ্দিন মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া চক্ষু হাসপাতালের সত্ত্বাধিকারী। হাসপাতালটিতে চারজন নার্স, দুজন রিসিপশনিস্ট ও একজন ওষুধ বিক্রেতাসহ নয়জন চাকরি করেন। হাসপাতালটির একজন মেয়ে রিসিপশনিস্টের সঙ্গে হাসপাতালের ওষুধ বিক্রেতা মো. হাসান এক রুমে গিয়ে একান্তে কথা বলেন। ঘটনাটি জসিম উদ্দিন দেখে তাদের সতর্ক করেন।

১৩ আগস্ট স্বামীসহ তার দুই মেয়েকে নিয়ে সাবিনা ইয়াসমিন বড়তাকিয়া হাসপাতালে যান। সাবিনা ইয়াসমিন মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় অবস্থান করেছিলেন। এমন সময় নিচে চিৎকার শুনে নিচে এসে দেখেন তার স্বামী জসিম উদ্দিনকে নিচে আটকে রাখা হয়েছে।

এক পর্যায়ে জসিম উদ্দিনকে মারধর করেন অভিযুক্ত তুরিন। সাবিনা বাধা দিতে গেলে তাকে গালিগালাজ ও মারধর করতে আসেন অভিযুক্তরা। তারা জসিমকে ৩ ঘণ্টা মারধর করেন। অভিযুক্তরা অভিযোগ করেন, হাসপাতালের রিসিপশনিস্টকে জসিম ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন। রিসিপশনিস্টকে ৩০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করার জন্য জসিমকে চাপ দেন তারা ।

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, বড়তাকিয়া চক্ষু হাসপাতালের মালিক আমার এলাকার একটি মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন। মেয়েটি আমাকে জানানোর পর আমি আমার এলাকার মেম্বারসহ হাসপাতালে গিয়ে তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করি। এরপর জসিম উদ্দিন কিছু বলতে পারেননি।

তিনি বলেন, মেয়েটিকে আমি সাহায্য করেছি। শুনেছি মেয়েটি জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলাটি দায়ের করেছে। আমি কেন চাঁদা চাইব? মিথ্যা অভিযোগে আমাকে ফাঁসানোর জন্য মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours