‘প্যানিক রুম’ স্টাইলের তালাবদ্ধ কক্ষে নারীদের বন্দি করে ধর্ষণ করতেন ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবলার বেঞ্জামিন মেন্ডি।
যুক্তরাজ্যের চেশায়ারে নিজের বাড়িতে সাত জন নারীকে ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতন করেছেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।
সোমবার (১৫ আগস্ট) যুক্তরাজ্যের চেস্টার ক্রাউন কোর্টে তার বিরুদ্ধে আটটি ধর্ষণ, একটি যৌন নির্যাতন এবং একটি ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বিচার শুরু হয়। শুনানির প্রথম দিনে আদালতের সামনে মেন্ডির কুকর্মের বৃত্তান্ত উপস্থাপন করেন কৌঁসুলি টিমোথি ক্রে। এসময় তিনি জানান, ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনাগুলো ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ঘটেছে।
মেন্ডি বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এসব অপরাধে সহায়তা করায় তার বন্ধু লুইস সাহা ম্যাটুরিকেও অভিযুক্ত করে বিচার শুরু হয়েছে। ২০২১ সালে মেন্ডির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলে তাকে দল থেকে নিষিদ্ধ করে ম্যানচেস্টার সিটি। ২০১৭ সালে ফরাসি ক্লাব মোনাকো থেকে ৫২ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ছয় বছরের চুক্তিতে তাকে দলে ভেড়ায় সিটিজেনরা।
ভুক্তভোগী দু’জন নারীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরে কৌঁসুলি ক্রে বলেন, মেন্ডির ‘দ্য স্পিনে’ নামের ম্যানশনে তালাবদ্ধ কক্ষে নারীদের ধর্ষণ করা হত। চুরি ঠেকাতে নিজের ম্যানশনে বেশ জটিল ‘লক সিস্টেম’ স্থাপন করেছিলেন মেন্ডি, পরবর্তীতে সেটার সুযোগ নিয়েই নারীদের বন্দি করে নির্যাতন করতেন এই ফুটবলার।
+ There are no comments
Add yours