জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত অবনতির গভীর প্রভাবগুলো বিশ্বে মানবাধিকারের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট।
বুধবার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) আয়োজনে মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে ‘ইয়ং স্কলারস মিট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের এ অবস্থানে যাওয়ার পেছনে কিছু দেশ অন্যদের তুলনায় বেশি দায়ী জানিয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রয়োজন রয়েছে।
ব্যাচেলেট বলেন, জলবায়ু প্রভাবের কারণে যেসব দেশ বেশি দায়ী তারা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সাহায্য করতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই বাংলাদেশের মতো বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের কথা শুনতে হবে।
বিআইআইএসএস-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. সুফিয়া খানম বলেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ১৫ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির শিকার হয়েছে এবং সর্বশেষ বন্যায় ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০০৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ৪ লাখ ২৬ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খরা, বন্যা, লবণাক্ততা ইত্যাদি দেখা দিচ্ছে। কৃষকরা অনেক সময় বৃষ্টির জন্য প্রার্থনাও করেন। তবে সরকার জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বিশেষ করে ২০০১ সালে ৪০০ কোটি টাকার ক্লাইমেট ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে। পরে এই ফান্ডের অর্থ আরও বাড়ানো হয়। জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি ইস্যুগুলো জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে আমি মনে করি।
+ There are no comments
Add yours