বড় বোন প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় ছোট বোনকে অপহরণ

Estimated read time 1 min read
Ad1

রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার এক তরুণীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন মো. সায়ের আলম পাভেল (৩৪)। তার প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া দেননি সেই তরুণী। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এবং তরুণীর বাবা-মায়ের কাছে অপমানিত হয়ে প্রতিশোধ নিতে নিজের কথিত ছোটভাই লন্ডনের বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীর ছোট বোনকে অপহরণ করে পাভেল।

অপহরণের পর মুক্তিপণ চাইলে ভিকটিমের বাবা বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে ওই দিন রাতেই টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন, মো. সায়ের আলম পাভেল (৩৪), মো. শেখ আলমগীর (২৩) ও মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)।

পুলিশ জানায়, পাভেল ইতোপূর্বে আরও দুই মামলার আসামি। এ থেকে পুলিশ ধারণা করছে, গ্রেপ্তাররা নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য।  শুক্রবার (১৯ আগস্ট) নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রায় ২ বছর ধরেই ভিকটিম ও তার বোনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল পাভেলের। ভিকটিমের বাড়ির সামনে গিয়েও দেখা করে কথা বলত সে। ভিকটিমের ব্যক্তিগত জীবন ও পারিবারিক বিষয়েও পরবর্তী তদন্তে জানা যাবে।

গত ১৪ আগস্ট নবম শ্রেণি পড়ুয়া ওই কিশোরীকে প্রলোভন দেখিয়ে বাসা থেকে অপহরণ করা হয়। জাহাঙ্গীর ভিকটিমের বাবার কাছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে, অন্যথায় মেয়েটিকে পতিতালয়ে বিক্রি করার হুমকি দেয়। বিষয়টি পুলিশ জানলে মেয়েকে চিরতরে গুম করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ১৮ আগস্ট মেয়েটির বাবা পুলিশকে জানালে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে মির্জাপুর থেকে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ দুইজনকে ও পরে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ছোটভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে অপহরণ করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, আলমগীর তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ডে রং মিস্ত্রির কাজ করে। রং মিস্ত্রির কাজের সুবাদে আলমগীরের সঙ্গে পাভেলের পরিচয় হয়। আলমগীরের মাধ্যমে পরিচয় সূত্রে ওই এলাকার এক তরুণীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় পাভেল। তরুণীর বাবা মায়ের কাছেও বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায় সে। কিন্তু পাভেল প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয় এবং তরুণীর বাবা-মায়ের কাছে অপমানিত হয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে। ওই তরুণীর বিয়ে হয়ে গেলে পাভেল তার ছোটবোনের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখে।

গ্রেপ্তার পাভেলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ডিসি আরও বলেন, বাবা-মায়ের প্রতি আক্রোশ থেকেই ভিকটিমকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দিতে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমরা ধারণা করছি, তারা নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য, যারা নানা কৌশলে মেয়েদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। তবে পরবর্তী তদন্তে বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া যাবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours