একে একে জেগে উঠছে জার্মানির ডুবে যাওয়া বহু যুদ্ধজাহাজ

Estimated read time 1 min read
Ad1

সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে তীব্র খরার মুখোমুখি ইউরোপ। চলমান খরা এতোটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, শক্তিশালী দানিয়ুব নদীর পানিও গত প্রায় এক শতাব্দীর মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরগুলোর একটিতে পৌঁছেছে।

এতে করে জেগে উঠতে শুরু করেছে জার্মানির ডুবে যাওয়া বহু যুদ্ধজাহাজ। এসব জার্মান যুদ্ধজাহাজ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ডুবে গিয়েছিল। শনিবার (২০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, ১৯৪৪ সালে সোভিয়েত বাহিনীর আক্রমণে দানিয়ুব নদীর তীরে নাৎসি জার্মানির কৃষ্ণসাগর বহরের শত শত যুদ্ধজাহাজ ডুবে যায়। পানি কমে যাওয়ায় জেগে ওঠা এসব যুদ্ধজাহাজ সেই বহরেরই অংশ ছিল। এমনকি এখনও পানির স্তর কম থাকলে ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ এই নদীপথে নৌ-চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে ইউরোপজুড়ে সৃষ্ট চলতি বছরের খরায় পূর্ব সার্বিয়ার প্রাহোভোর কাছে দানিয়ুব নদীতে ২০ টিরও বেশি যুদ্ধজাহাজ ভেসে উঠেছে। ভেসে ওঠা এসব যুদ্ধজাহাজের অনেকগুলোতে এখনও কয়েক টন করে গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক মজুদ রয়েছে। ফলে এই রুটে নৌ-চলাচল এখন বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।

এছাড়া এসব জার্মান জাহাজের কারণে স্থানীয় মাছ ধরার শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরাও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। এর মধ্যে রোমানিয়া থেকে আসা ব্যক্তিরাও রয়েছেন। মূলত নদীর ঠিক ওপারেই রোমানিয়ার অবস্থান।

টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, মাসের পর মাস ধরে চলে আসা এই খরা এবং রেকর্ড-উচ্চ তাপমাত্রা দানিয়ুব নদীপথে নৌ-চলাচলকে কার্যত আটকে দিয়েছে। এতে করে জার্মানি, ইতালি এবং ফ্রান্সসহ ইউরোপের এক অংশ থেকে অন্য অংশে নৌ-চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

অবশ্য সার্বিয়ার কর্তৃপক্ষ দানিয়ুবের নৌ-চলাচল লেনগুলো চালু রাখার জন্য ড্রেজিংয়ের আশ্রয় নিয়েছে। বন্দর শহর প্রাহোভোর কাছে দানিয়ুব নদীতে ডুবে থাকা কিছু জার্মান জাহাজ নৌচলাচলের অংশটিকে ১৮০ মিটার থেকে মাত্র ১০০ মিটারে সঙ্কুচিত করে দিয়েছে।

চলতি বছরের মার্চ মাসে ডুবে যাওয়া এসব জাহাজ উদ্ধার এবং গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক অপসারণের জন্য একটি দরপত্র আহ্বান করেছিল সার্বিয়ান সরকার। সেসময় এই কর্মকাণ্ডের খরচ ধরা হয়েছিল ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours