২০২১-২২ অর্থবছরে তামাকপণ্য সিগারেট থেকে সরকার রাজস্ব হারিয়েছে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। সঠিক কর কাঠামো না থাকায় সরকার এ পরিমাণ রাজস্ব হারিয়েছে।
বুধবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট করারোপ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, সঠিক কর কাঠামোর অভাবে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকার রাজস্ব হারিয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। সিগারেটের প্যাকেটে মুদ্রিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য এবং গবেষণায় পাওয়া বিভিন্ন স্তরের সিগারেটের খুচরা বিক্রয় মূল্যর পার্থক্য থেকে কর হিসাবে সরকারের প্রাপ্য অংশ হিসাব করে গত অর্থবছরের সম্ভাব্য রাজস্ব ক্ষতি বের করা হয়েছে।
সেমিনারে বলা হয়, অতি উচ্চস্তরের সিগারেটের ২০ শলাকার প্যাকেটে মুদ্রিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ২৭০ টাকা হলেও বিক্রিত গড় মূল্য ২৯৪ দশমিক ২৯ টাকা। সেই হিসাবে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের ওপর থেকে কর আদায় করা সম্ভব হলে উচ্চস্তরের সিগারেট থেকে সরকার আরও প্রায় ৫৮৩ কোটি টাকা বেশি পেতে পারতো। একইভাবে উচ্চস্তর থেকে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা, মধ্যমস্তর থেকে প্রায় ২৩৭ কোটি টাকা এবং নিম্নস্তর থেকে আরও ৩ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা অতিরিক্ত কর আদায় সম্ভব হতো।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, সিগারেটের চারস্তরভিত্তিক কর কাঠামো ধারাবাহিকভাবে একস্তরে নিয়ে আসতে হবে। সিগারেট ও বিড়ির খুচরা বিক্রি নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে এবং ভোক্তারাও তামাক গ্রহণে উৎসাহিত হচ্ছে। কর ফাঁকি রোধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সামগ্রিক সমস্যা মোকাবিলা করতে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে একটি জাতীয় তামাক কর নীতি প্রণয়ন করতে হবে।
+ There are no comments
Add yours