শকুন রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে এগিয়ে আছে জানিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশে ২০১০ সালে শকুনের জন্য ক্ষতিকর ওষুধ ডাইক্লোফেনাক নিষিদ্ধ করা হয়, যা এশিয়ার মধ্যে প্রথম। এছাড়া আরেকটি ক্ষতিকর ওষুধ কিটোপ্রফেনও নিষিদ্ধ করে সরকার।
আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস উপলক্ষে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বন অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কিটোপ্রফেন নিষিদ্ধের পর নিরাপদ ওষুধ মেলোক্সিক্যাম ও টলফামেনিক এসিডের ব্যবহার বাড়তে শুরু করেছে, যা শকুন রক্ষায় একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এ বিষয়ে সব ওষুধ কোম্পানিকে ক্ষতিকর কিটোপ্রফেন উৎপাদন ও বিপণন বন্ধে সরকারি নির্দেশ মেনে চলতে হবে।
বাংলাদেশ জাতীয় শকুন সংরক্ষণ কমিটি গঠন, সরকারিভাবে দুটি শকুন নিরাপদ অঞ্চল ঘোষণা এবং দশ বছর (২০১৬-২০২৫) মেয়াদি বাংলাদেশ শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনা- বাংলাদেশের শকুন রক্ষার জন্য দীর্ঘমেয়াদী কাঠামো হিসেবে কাজ করছে বলেও জানান পরিবেশমন্ত্রী।
শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে সপ্তম ও অষ্টম আঞ্চলিক পরিচালনা কমিটির সভায় সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যকরী সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার শকুন সংরক্ষণের একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে। শকুনের ডানায় লাগানোর জন্য লাল-সবুজ পতাকার আদলে বিশেষ ট্যাগ তৈরি করা হয়েছে। এ উইং ট্যাগের পাশাপাশি এ বছর নতুন প্রযুক্তি- স্যাটেলাইট ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে শকুনের গায়ে ট্যাগ লাগানোর পরিকল্পনা আছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের দেশের শকুনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে, যা শকুন সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমাদের সবার স্বার্থে, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে অবশিষ্ট শকুনগুলোকে রক্ষায় আমাদের সবাইকেই অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
+ There are no comments
Add yours