৪ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে অজ্ঞাত এক তরুণীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে জামালপুর সদর থানা পুলিশ।
জামালপুর জেলার সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের কুমারিয়া গ্রামে রাস্তার পাশে বাঁশঝাড়ের নিচে পড়ে থাকা তরুণীর লাশ দেখে লোকজন পুলিশকে জানালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। দুপুরের দিকে এই খবর চারপাশে ছড়িয়ে পড়লে,তরুণীর পরিচয় পাওয়া যায়।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তরুণী কাজুলী আক্তার (২৮) ও তার মা জোসনা বেগম (৫৮) আগের দিন মাগরিবের নামাজের পনেরো মিনিট আগে নিজ বাড়ী ‘নান্দিনা বাদাম বাড়ি’ থেকে বের হয়ে উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নের জামিরা গ্রামের পূর্ব পরিচিত নিপুলের বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
তরুণীর পরিবারের সদস্যরা আজ দুপুরে তার লাশ সনাক্তের পর নিপুলের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ফোন বন্ধ পাচ্ছে। নিহতের বোন মর্জিনা ( ৩০) জানান, কাজুলীর চাকুরির বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করার জন্য তার মা এবং বোন জামিরার উদ্দেশ্যে গেছে। কামিল পাশ কাজুলীর চাকুরি নিয়ে নিপুলের সাথে আগে থেকেই আলাপ আলোচনা চলছিল বলে জানান মর্জিনা।
বোনের লাশ পেলেও মায়ের কোন খোঁজ পাচ্ছে না বলে জানান ছোট বোন,নিহত তরুণীর পিতা কামাল মেয়ের লাশ গ্রহণের জন্য জামালপুর সদর হাসপাতালে আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ধারণা করা হচ্ছে, টাকা পয়সা এবং স্বর্নের অলংকার লুট করে ধর্ষণের পর তরুণী কে হত্যা করা হয়েছে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাহনেওয়াজ জানান, অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের পর পরিচয় পাওয়া গেছে, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়ছে। নিখোঁজ নারীর সন্ধানে এবং খুনের ঘটনা তদন্তে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
+ There are no comments
Add yours