পাহাড় নদী সাগর রক্ষা করে পরিবর্ধনশীল চট্টগ্রাম মহানগরী গড়ার পরিকল্পনা আজ থেকে বাস্তবায়ন কাজ শুরু না করলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম আয়োজিত নান্দনিক চট্টগ্রাম গড়তে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্ব ও করণীয় শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, পরিবেশবান্ধব নান্দনিক চট্টগ্রাম মহানগর গড়তে সব ধরনের ঝুঁকি মোকাবিলা করতে আমি দ্বিধা করব না। যে পাহাড় কাটবে তাকেই জেলে পাঠাতে হবে। খাল-নালা, ফুটপাত দখলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। আগামীতে নিয়মিত তা অব্যাহত থাকবে। দখলকারীরা তথাকথিত যতই প্রভাবশালী হোক আমরা তার তোয়াক্কা করি না, আগামীতেও করব না।
সেমিনারে উদ্বোধনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুমিনুর রহমান বলেন, পাহাড় নদী খাল দখলকারী মসজিদের ঈমাম বা পুরোহিত যেই হোক না কেন তাদের নীতিগত দুর্বলতা থাকবে। দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে সঠিক আইনের প্রয়োগ করা হলে তারা পালাবেই।
তিনি বলেন, জঙ্গল সলিমপুর থেকে পাহাড়খেকোকে উচ্ছেদ করতে গিয়ে আমাকে বদলির হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি তাদের সাধুবাদ জানিয়ে বলেছি— আমি যেখানেই চাকরি করি আমার বেতন অন্যান্য সুযোগ সুবিধা তো কম হবে না। আমরা যারা সরকারি চাকরি করি দুর্বৃত্ত খারাপ লোকদের ভয় না পেলে অনেক কাজ করতে পারব। আমাদের পাহাড় অভিযানকে সর্বস্তরের জনগণ সমর্থন দিয়েছে। যারা পাহাড় খায়, বালি খায় সরকারি, গাছ খায় তারা ভালো মানুষ নয়। তাদের বিতাড়িত করা সহজ।
চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি চৌধুরী ফরিদের সভাপতিত্বে দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন চুয়েট ভিসি (প্রাক্তন) ও ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম ও সিনিয়র সাংবাদিক আলীউর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিডিএ বোর্ড মেম্বার স্থপতি আশিক ইমরান।
+ There are no comments
Add yours