বাংলাদেশে বর্তমানে ধোঁয়াহীন তামাক সেবন করেন প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ। যা তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ৫৮ শতাংশ!
অথচ জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিবেচনা করে সিগারেট ও বিড়ি গ্রহণের হার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়, ধোঁয়াহীন তামাকজাত দ্রব্যকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাই ধোঁয়াহীন তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে অতিদ্রুত স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজিং জরুরি।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) আর্ক ফাউন্ডেশন, ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্ক ও হেলথ ইকোনোমিকস রিসার্চ নেটওয়ার্ক (হার্ন) আয়োজিত রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশে ধোঁয়াবিহীন তামাক নিয়ন্ত্রণে সম্ভাব্য নীতিমালা’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে বক্তারা এ গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্কের হেলথ সায়েন্স বিভাগের গ্লোবাল পাবলিক হেলথের অধ্যাপক ড. কামরান সিদ্দিকী। মূল বক্তব্যে তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে ধোঁয়াহীন তামাকের ব্যবহার ও প্রকোপ অনেক বেশি। বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে সিগারেট ও বিড়ি ব্যবহারকারীদের হার কিছুটা কমে এলেও ধোঁয়াহীন তামাক সেবনের হার প্রায় অপরিবর্তিত আছে। ফলে এ খাতটি নিয়ন্ত্রণে মনোযোগ দেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়।
অনুষ্ঠান থেকে ধোঁয়াহীন তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সেগুলো হচ্ছে- ধোঁয়াহীন তামাক নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ফ্লেভারের প্রচলন বন্ধ এবং উপাদান নির্ধারণ ও পর্যবেক্ষণ করা; খুচরা বিক্রিতে লাইসেন্সের প্রচলন কিংবা বিকল্প উপায় বের করা; অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিক্রি ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; অপ্রাপ্ত বয়স্কদের কাছে বিক্রি ও সেবন নিষিদ্ধ করা এবং কর হার বাড়িয়ে সিগারেটের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য করা যাতে তা ন্যূনতম ২০ শলাকা সিগারেটের সমপরিমাণ হয়।
+ There are no comments
Add yours