মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ।
তবে পদত্যাগের সঙ্গে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের করা মামলার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন। সদর থানায় সাত ঘণ্টা থাকার পর ছাড়া পেয়েছেন তিনি।
আসাদুজ্জামান আসাদ জেলা বিএনপির ১০ নম্বর কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন। তিনি পেশায় মানিকগঞ্জ জজ কোর্টের আইনজীবী। পদত্যাগের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন আসাদ।
আসাদুজ্জামান আসাদ দীর্ঘদিন যাবৎ বিএনপির রাজনীতি করে আসছেন। কিন্তু তার স্ত্রী আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। এছাড়াও তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলেও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত। পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে একমাত্র তিনিই বিএনপির রাজনীতি করতেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় নন বলে জেলা বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবির বলেন, বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ যে মামলা করেছে, সেখানে আসাদুজ্জামান আসাদের নাম নেই। তারপরও রোববার রাতে তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। পরে তার স্ত্রী রোমেজা খাঁন মাহিন থানায় যান এবং মুচলেকার মাধ্যমে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। তার পদত্যাগপত্রটি এখনো হাতে পাইনি। তবে হাতে তার পদত্যাগপত্রটি পেলে জেলা কমিটির মিটিংয়ে তোলা হবে এবং দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল রোববার জেলা বিএনপির নেতা আসাদুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মামলার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
প্রসঙ্গত, গত ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা শহরের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। শহরের সেওতা এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার পথে খালপাড়া এলাকায় তারা পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ ও পাঁচটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় সদর থানার উপপরিদর্শক আব্দুল লিটন রাতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আড়াই হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
+ There are no comments
Add yours