হুন্ডিতে টাকা নিলে বিপদে পড়বেন প্রবাসীর স্বজন

Estimated read time 1 min read
Ad1

বর্তমানে অনেক প্রবাসী হুন্ডিতে তার স্বজনদের কাছে টাকা পাঠাচ্ছেন। তবে এটি সম্পূর্ণ অবৈধ। সিআইডি হুন্ডি নিয়ে তদন্ত করছে। তদন্তের প্রয়োজনে হুন্ডির টাকা গ্রহণকারীদেরও আইনের মুখোমুখি হতে পারে।

হুন্ডির ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলন করেন সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

তিনি বলেন, যারা বিদেশ থেকে অবৈধ পথে টাকা পাঠাচ্ছেন এবং দেশ থেকে সে টাকা গ্রহণ করছেন, তাদেরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি সিআইডি মনিটরিং করছে। আমার ধারণা কোনো প্রবাসী চাইবেন না তার অবৈধ পথে টাকা পাঠানোর জন্য তার স্বজন আইনের মুখোমুখি হোক।

তিনি বলেন, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এজেন্ট অবৈধ কার্যক্রম করছে। আমরা টার্গেট করে তিনটি গ্রুপকে ধরেছি। ইতোমধ্যে যারা অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল সিআইডির তৎপরতায় সেখান থেকে তারা সরে আসতে শুরু করেছে। আমরা ইন্টেলিজেন্স বেইজ অপারেশন পরিচালনা করি। সিআইডি ৫ হাজার মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এজেন্টদের নজরদারির মধ্যে রেখেছে। দুই- একদিনের মধ্যে অবৈধ লেনদেন ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কমে যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিকাশ, রকেট, নগদ ছাড়াও যেসব মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস রয়েছে তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে মিটিং করিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে মিটিং না করার কারণ, ইন্টেলিজেন্স যেন ফাঁস না হয়।

হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো টাকা কোনো জঙ্গি কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সিআইডি প্রধান বলেন, তদন্ত করে বিষয়টি দেখা হবে।

সিআইডি প্রধান বলেন, আটক ১৬ জনের মধ্যে ৬ জন বিকাশ এজেন্ট, ৩ জন বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসার, ৩ জন বিকাশের ডিএসএস, ২ জন হুন্ডি এজেন্ট, একজন হুন্ডি এজেন্টের সহযোগী ও একজন হুন্ডি পরিচালনাকারী।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours