ধর্ষণের প্রতিবাদে যারা রাস্তায় নেমেছে তাদের স্বাগত জানাই,ধর্ষণকারীর ফাঁসি হওয়া উচিত- ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা

Estimated read time 1 min read
Ad1

ডেস্ক নিউজঃ 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ধর্ষণের প্রতিবাদে যারা রাস্তায় নেমেছে তাদের স্বাগত জানাই। ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য তারা আন্দোলন করছে। ধর্ষণকারী যদি প্রমাণিত হয়, তবে অবশ্যই তার ফাঁসি হওয়া উচিত’।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ইউনিসেফ কর্তৃক ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ‘এন্ডিং চাইল্ড ম্যারেজ: আ প্রোফাইল অব প্রোগ্রেস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, যুগ্মসচিব মো মুহিবুজ্জামান ও প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন ।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ধর্ষক, ধর্ষকই। তার কোন সামাজিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক পরিচয় নেই। যে ধর্ষক সে নিশ্চয়ই সে কোন না কোন মায়ের সন্তান। সেই মাকে আহবান জানান, আপনি এই ধর্ষক পুত্রকে বর্জন করুন। নিশ্চয়ই ধর্ষণকারী কারো না কারো পিতা, তিনি সন্তানদেরকে ধর্ষণকারী পিতাকে বর্জন করার আহব্হান জানান। ধর্ষণকারী নিশ্চয়ই কারো না কারো ভাই, সেই ধর্ষণকারী ভাইকে যেন তারা বর্জন করেন। প্রতিমন্ত্রী সমাজের প্রতি আহ্বান জানান, সমাজ যাতে এই ধর্ষণকারীদের প্রত্যাখ্যান করেন। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানান ধর্ষণকারীদের যাতে তারা বহিস্কার করে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ একটি অসুস্থ মানসিকতা কাজ করে। সেজন্য দরকার সচেতনতা। এখানে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এভাবেই সকলের সন্মিলিত প্রচেষ্টায় এই নির্যাতন বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন।

ইউনিসেফের প্রাকাশনা অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা তার বক্তব্যে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ, নারী ও শিশুর উন্নয়ন ও সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।

ইউনিসেফ কর্তৃক প্রাকাশনা অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন যুক্তরাস্ট্র থেকে ইউনিসেফের সিনিয়র অ্যাডভাইজার ক্লডিয়া কাপ্পা (Dr, Claudia Cappa)। বাংলাদেশ থেকে যোগদান করেন ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজ়েন্টিটিভ মিজ ভেরা মেনডোস্কা ওআইসি (Ms. Veera Mendonca, OIC)।

ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজ়েন্টিটিভ ভেরা মেনডোস্কা বলেন, বাল্য বিয়ে রোধে বাংলাদেশ যথেষ্ঠ উন্নতি করেছে। বাল্য বিয়ে শুধু মেয়ে ও তার পরিবারের জন্য ক্ষতিকর নয়। এটা দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার জন্যও ক্ষতিকর।

ইউনিসেফের প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়, দেশের পুরো জনসংখ্যার মধ্যে ৩ কোটি ৮০ লাখ নারীর বাল্যবিবাহ (১৮ বছরের আগে বিয়ে) হয়েছে। এদের মধ্যে এক কোটি ৩০ লাখের বিয়ে হয়েছে ১৫ বছরের আগে। প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, বাল্য বিবাহের শিকার শিশুদের বেশির ভাগ দরিদ্র পরিবারের ও গ্রামে বাস করে। বাল্য বিয়ের শিকার মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার অবিবাহিত মেয়ে শিক্ষার্থীদের তুলনায় ৪ গুণ বেশি।

প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, বিবাহিত প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রতি পাঁচজন ১৮ বছরের আগে ও প্রতি ৮ জন ২০ বছরের আগে সন্তান জন্ম দেয়। বাল্যবিবাহের কমানোর অগ্রগতি উচ্চবিত্ত ও ধনী শ্রেণির মধ্যে বেশি বলেও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বিভাগ, এখানে ৯০ লাখ নারীর বাল্যবিবাহ হয়েছে। বাল্য বিবাহের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা, এই জেলায় বাল্যবিবাহের হার ৭৩ শতাংশ। বাল্যবিবাহ সবচেয়ে কম চট্টগ্রাম জেলায় যা ৩৯ শতাংশ। পিআইডি।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours