বিজয় দিবস ভাতা চালু, বৈশাখী ভাতা শত ভাগ করা, টিফিন ভাতা ৩ হাজার টাকা ও টাইম স্কেলসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে সরকারি কর্মচারীরা।
আগামী ৭ দিনের মধ্যে দাবি আদায় না হলে প্রধানমন্ত্রী বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ।
সংগঠনের সমন্বয়ক মো. মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সমন্বয়ক লুৎফর রহমান, ইব্রাহিম খলিল, মো. নিজামুল ইসলাম ভূঁইয়া মিলন, মো. আনোয়ারুল ইসলাম তোতাসহ অন্যান্যরা।
৭ দফা দাবিগুলো হলো
১. পে-কমিশন গঠন পূর্বক ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তর্বর্তীকালীন কর্মচারীদের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করতে হবে।
২. ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।
৩. সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর, অধিদপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের পদনাম পরিবর্তনসহ ১০ম গ্রেডে উন্নীত করণ এবং এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।
৪. টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনঃবহাল, বিদ্যমান এডুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের স্থলে শত ভাগ নির্ধারণ ও পেনশন গ্র্যাচুইটি এক টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
৫. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ।
৬. আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল পূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে। ব্লক পোস্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে।
৭. বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় পূর্বক সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স সীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে এবং অধঃস্তন আদালতের কর্মচারীদের বিচার বিভাগীয় কর্মচারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
+ There are no comments
Add yours