তরুণ সমাজকে উন্নত দেশ গড়ার কারিগর অ্যাখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে উন্নত বাংলাদেশ গড়া। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ব। আমাদের তরুণ সমাজই হবে সেই ’৪১ এর কারিগর।
রোববার (১১ সেপ্টম্বর) ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত ১১ জনের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা এবং সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়েছে।
জিয়াউর রহমান যুব সমাজের হাতে অস্ত্র, মাদক তুলে দিয়েছিল অভিযোগ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, যুব সমাজকে উন্নয়নের ধারাবাহিতকায় ছেদ পড়ে জাতির পিতাকে হত্যার পর। ৭৫-এর পর সামরিক সরকার ক্ষমতা দখল করে। জাতির পিতাকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেছিল। সেই জিয়াউর রহমান যুব সমাজের হাতে অস্ত্র, মাদক তুলে দিয়ে তাদের বিপথে পরিচালিত করেছিলেন। তিনি যুব সমাজের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে নিজের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে উন্নত বাংলাদেশ গড়া। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ব। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কর্মসূচি প্রণয়ন করেছি। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ করার কথা বলেছি। আজ আমরা উন্নয়শীল দেশের মর্যদা পেয়েছি। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের গ্রাজুয়েশন হয়েছে। এটা যেন আর পিছিয়ে না যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আজকে আমাদের তরুণ সমাজই হবে সেই ৪১ এর কারিগর। তারা দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। প্রত্যেক মানুষ যেন সুন্দর জীবন পায় আমরা সে পথে এগিয়ে যাব।
শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে তরুণ সমাজের জন্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পর আমাদের লক্ষ্যই ছিল দেশের যুব সমাজকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করা। তখনকার যুগে কেউ কম্পিউটার শিখতো না, কম্পিউটার ছিলই না। দুই-চারটা অফিসে হয়তো ডেস্কটপ সাজানো থাকতো, কিন্তু কেউ ব্যবহার করতো না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে প্রবাসী যুবকরা বিনা জামানতে ঋণ নিতে পারবে, সে ব্যবস্থা করেছি। প্রযুক্তি ও কম্পিউটার শেখার জন্য আমরা আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠা করেছি, যাতে যুবকরা ট্রেনিং নিয়ে এই সেক্টরে দক্ষ হয়। দেশব্যাপী কমিউনিটি ক্লিনিক করেছি, সেখানেও কর্মসংস্থান হচ্ছে। কোনো যুবকই বেকার থাকবে না।
+ There are no comments
Add yours