টানা প্রায় সাত মাস ধরে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ এই আগ্রাসনের কারণে ইউরোপে ফিরেছে যুদ্ধ, সঙ্গে ফিরেছে সামরিক-বেসামরিক প্রাণহানিও।
এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছিল আগেই।
আর এবার যুদ্ধাপরাধের দায়ে ভ্লাদিমির পুতিনকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইইউ প্রধান উরসুলা ফন ডার লেইন বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মুখোমুখি করতে চান।
জার্মান নিউজ আউটলেট বিল্ডের টিভি চ্যানেলকে তিনি বলেন, ‘পুতিনকে অবশ্যই এই যুদ্ধে হারতে হবে এবং তার কর্মের মুখোমুখি হতে হবে, এটি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’
ইউক্রেনে তার সফরের সময়, ভন ডার লেইন প্রতিশ্রুতি দেন যে, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এই দেশটিকে ‘যতদিন সময় লাগে’ সমর্থন দিতে থাকবে ইউরোপ।
এর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযানে হওয়া ‘জঘন্য যুদ্ধপরাধের জন্য’ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দায়ী বলে মন্তব্য করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। গত মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এক অঘোষিত সফরে ইউক্রেনে গিয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
সেসময় ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘জঘন্য যুদ্ধাপরাধের জন্য যে ভ্লাদিমির পুতিন দায়ী, এটি স্পষ্ট। এখানে অবশ্যই জবাবদিহিতা থাকতে হবে।’
এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করার প্রায় এক মাসের মাথায় রুশ প্রেসিডেন্টকে এই তকমা দেন তিনি।
তবে সেবারই প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রকাশ্যেই পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। তারও সপ্তাহখানেক আগে পোল্যান্ড সফরের সময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছিলেন, ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত করা উচিত।
+ There are no comments
Add yours