ভুটানকে ৮-০ গোলে হারিয়ে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কোচ ছোটনের মুখে তাই তৃপ্তির হাসি, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ফাইনাল খেলা। প্রথম ১৫ মিনিটে খেলা হলে ম্যাচটা সহজ হবে খেলেছিলাম। তবে কত গোল হবে তা ভাবিনি। জেতা আমাদের জরুরি ছিল। ঢাকা থেকে আসার সময় আমরা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফাইনালে যাব। মেয়েরা পুরো ম্যাচ জুড়েই ভালো খেলেছে। তিন ম্যাচেই ভাল ব্যবধানে জিতেছি আমরা।’
আজকের ম্যাচে ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্না চোট পেলেও সেটা গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন কোচ।
কোচ যেমন ফুটবলারদের প্রশংসা করেছেন, তেমনি অধিনায়ক সাবিনাও কোচকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন, ‘স্যারের সঙ্গে আমাদের প্ল্যানিংটা দুর্দান্ত। তিনি যেভাবে প্ল্যান করেছেন, সেভাবে খেলার চেষ্টা করেছি। স্যার সবসময় আমাদের সঙ্গেই থাকেন। বড় প্রাপ্তি বললেন তিনিই। অবশ্যই এটা স্যারের ক্রেডিট।
স্যারের মতো একজন শিক্ষক পেয়েছি বলেই মেয়েরা এত উজ্জীবিত।’ নিজের হ্যাটট্রিকে দল ফাইনালে যাওয়ায় একটু বেশি তৃপ্ত তিনি, ‘ভালো লাগছে বড় ব্যবধানে জিতে। সবসময় চেষ্টা করি নিজের সেরাটা দিতে। আরও ভালো দেওয়ার চেষ্টা করব ফাইনালে।’
২০১৬ সালেই কেবল সাফের ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। সেই সাফ থেকেই বাংলাদেশের নারী ফুটবলের বিশেষ পথচলা শুরু হয়েছিল বলে মনে করেন ছোটন, ‘আমাদের সভাপতি (কাজী সালাউদ্দিন) স্বপ্ন দেখেছিলেন ভালো কিছু করতে গেলে লংটার্ম প্ল্যান করতে হবে।
২০১৬ অক্টোবরে এই ক্যাম্প শুরু হয়। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ এর ফাইনাল রাউন্ড পর্যন্ত গিয়েছি। সেখানে আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া, রানার্সআপ দক্ষিণ কোরিয়া ও তৃতীয় হওয়া জাপান আমাদের গ্রুপে ছিল। প্রতিনিয়ত অনুশীলনের মধ্যেই ছিল মেয়েরা। তারা যে সহযোগিতা করেছে, সঙ্গে সঙ্গে টেকনিক্যালি কোচিং স্টাফরাও হার্ডওয়ার্ক করেছে। সবচেয়ে বেশি অবদান আমার মেয়েদের। সারাবছর ব্যাপী তারা অনুশীলন করেছেন।’
+ There are no comments
Add yours