দেশি-বিদেশি নতুন কিংবা পুরোনো স্বর্ণালংকার ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কবার্তা দিয়েছে দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস। এখন থেকে কেউ স্বর্ণ বিক্রি করলে অবশ্যই বিক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি রাখতে হবে। একইসঙ্গে স্বর্ণর উৎস সম্পর্কেও জানতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাজুসের পাঠানো এক বার্তায় সতর্কীকরণ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।
যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন ব্যবসায়ীরা
১. বিক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি থেকে নিজ দায়িত্বে উভয় পাশের ফটোকপি রাখতে হবে।
২. বিক্রেতার বিক্রয় করা স্বর্ণালংকারের উৎস সম্পর্কে জানতে হবে।
৩. বিক্রেতার স্বর্ণালংকারের ক্রয় রশিদের কপি থাকতে হবে।
৪. মূল মালিক ছাড়া কোনো প্রতিনিধির কাছ থেকে অলংকার ক্রয় করা যাবে না।
বিক্রেতা যদি তথ্য দিতে না পারেন, তাহলে বুঝতে হবে সেটা অবৈধ স্বর্ণ। তাই এ ধরনের বিক্রেতার কাছ থেকে স্বর্ণ ক্রয় করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ব্যাগেজ রুলের আওতায় আনা সোনা ক্রয়ের যেসব সতর্ক থাকতে হবে সেগুলো হলো- বিক্রেতার পাসপোর্টের মূল কপি থেকে নিজ দায়িত্বে ফটোকপি করে রাখতে হবে।
বিক্রেতা যে দেশ থেকে স্বর্ণ নিয়ে এসেছেন, সেই দেশের ভিসার কপি এবং এক্সিট ও এন্টির সিলের কপি রাখতে হবে (মূল কপি থেকে নিজ দায়িত্বে ফটোকপি করে রাখতে হবে, এক্ষেত্রে বিক্রেতার কাছ থেকে উল্লেখিত ডকুমেন্টের কোনো ফটোকপি গ্রহণ করা যাবে না)।
প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে স্বর্ণ ক্রয় করতে হবে। এয়ারপোর্টে ডিক্লারেশন বা ট্যাক্সের আওতায় থাকলে ট্যাক্স দেওয়ার ডকুমেন্ট (মূল কপি সংরক্ষণ করতে হবে)। প্রয়োজনে বিক্রেতার পরিচয় যাচাই-বাছাই করতে হবে। পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ট্যাক্স পে (পিওর গোল্ড ক্রয়ের ক্ষেত্রে) একই নাম, ঠিকানা আছে কি না, তা যাচাই করে নিতে হবে।
একজন যাত্রী বিদেশ থেকে দেশে আসার সময়ে ব্যাগেজ রুলের আওতায় পণ্য আনার যে সুবিধা পান তা তার ব্যক্তিগত বা পরিবারের সদস্যদের ব্যবহারের জন্য। তবে অর্থের প্রয়োজনে পণ্যটি বিক্রি করার ইচ্ছা পোষণ করলে উল্লেখিত তথ্যাদি বা ডকুমেন্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে ক্রয় করা যাবে।
+ There are no comments
Add yours