বিগত এক বছরে ফটিকছড়ির চার ইউপি চেয়ারমানর বিরুদ্ধে যখন তখন নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আইনের লোক হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান কতৃক আইনের এমন অপব্যাবহারে হতাশ সাধারণ জনগণ।
সম্প্রতি বাকীতে পন্য না দেয়ায় স্থানীয় ফকিরহাট বাজারের এক দোকান কর্মচারীকে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পেটান জাফতনগর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন জিয়া। চেয়ারম্যান নিজে দোকান কর্মচারীকে পেটানোর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন বেশ ভাইরাল।
এদিকে এ বছরের শুরুতে তুচ্ছ ঘটনায় আজাদী বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের গায়ে প্রকাশ্যে হাত তোলেন উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুল হক। যা তখন টক অফ দ্যা ফটিকছড়িতে পরিণত হয়েছিল।
অন্যদিকে, বিগত কয়েক মাস আগে কাঞ্চননগর ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক স্থানীয় এক প্রবাসীর জায়গা দখলে নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিলেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এর পূর্বে ভূজপুর ইউনিয়নের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান ইব্রাহিম তালুকদারের হাতে ইউনিয়নের এক সেবা প্রার্থী লাঞ্চিত হওয়ার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। তখন অবশ্য, এসব ঘটনায় উল্লেখিত চেয়ারম্যানরা পৃথক বক্তব্যে বলেছিলেন এগুলো অনাকাঙ্ক্ষিত, বিক্ষিপ্ত ও ছোট খাট ব্যাপার মাত্র।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাব্বির রহমান সানি বলেন, কোন অবস্থাতেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। ইউপি চেয়ারম্যনরা এভাবে করতে পারেন না। তিনি আরো বলেন এ ধরনের কোন অভিযোগ পাইনি।অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
+ There are no comments
Add yours