রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দুই প্রদেশ দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ইউক্রেনীয় বাহিনীর আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা এবং ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর গত ৭ মাসের সামরিক অভিযানে দেশটির যেসব অঞ্চল ইতোমধ্যে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে এসেছে, সেসব এলাকা ধরে রাখতে প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে রাশিয়া।
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থা রাশিয়া’স সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ বুধবার এক বৈঠকে একটি লিখিত প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
সেখানে বলা হয়, ‘(ইউক্রেনে) আমাদের পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই। আমরা দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বেশ কিছু অঞ্চল রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’
‘যদি দোনেৎস্ক ও লুহানস্কসহ ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চল রাশিয়ার ভূখণ্ডে যুক্ত হতে যায়, তাহলেও আমাদের আপত্তি থাকা উচিত নয়।’
রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিকের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনে রাশিয়া’স সিকিউরিটি কাউন্সিলের একটি বৈঠক হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, উপপ্রধানমন্ত্রী ডেনিস মান্তুনভ ও রুশ সেনাবাহিনীর কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। সেখানেই এই লিখিত প্রস্তাব উত্থাপন করেন দিমিত্রি মেদভেদেভ। বৈঠকে উপস্থিতি অন্যান্যরা তার এই প্রস্তাবে সমর্থনও দিয়েছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অত্যন্ত বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত দিমিত্রি মেদভেদেভ ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। মূলত পুতিনের নির্দেশেই ২০০৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন মেদভেদেভ।
২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আর অংশ নেননি তিনি। প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে দেওয়ার পর মেদভেদেভকে রাশিয়ার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থা রাশিয়া’স সিকিউরিটি কাউন্সিলের উপপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন পুতিন। পদাধিকার বলে এই কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে আছেন পুতিন, কিন্তু তিনি আলঙ্করিক প্রধান, প্রকৃতপক্ষে মেদভেদেভই রাশিয়ার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের শীর্ষ নির্বাহী।
মেদভেদেভ যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন, সেসময় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমা দেশসূহের প্রতি উদার মনোভাবের জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি। তবে সিকিউরিটি কাউন্সিলের প্রধান হওয়ার পর তার সেই মনোভাবে ব্যাপক পরিবর্তন আসে।
+ There are no comments
Add yours