কুড়িগ্রামে প্রশ্নপত্র ফাসের মামলায় আরোও তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুল ইসলাম, বাংলা বিষয়ের শিক্ষক সোহেল আল মামুন ও পিয়ন সুজন।
দুই শিক্ষককে গতকাল সকালে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য আটক করা হয়। পরে রাতে মামলার আসামী করা হয়।
এদিকে গত রাতে পিয়ন সুজনকে আটক করে গ্রেফতার দেখানো হয়। এ মামলায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচীব সহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গতকাল প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচীব লুৎফর রহমান, ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক আমিনুর রহমান ও ইসলাম শিক্ষা শিক্ষক জোবায়ের ইসলামকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এদিকে এজাহার নামিয় আসামী অফিস সহকারী আবু হানিফ পলাতক রয়েছে।
ভুরুঙ্গামারীথানর ওসি আলমগীর হোসেন জানান, গ্রেফতার কৃতদের দুপুরে আদালতের পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। প্রশ্নপুত্র ফাঁসের অভিযোগে নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার আদম মালিক ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা আরো ১০/১২ জনের নামে ভুরুঙ্গামারী থানায় মামলা দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার মো: শামছুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক মোঃ ফারাজ উদ্দিন তালুকদারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার ভূরুঙ্গামারীতে আসেন।
তদন্তটিমের অন্য সদস্যরা হলেন, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উমা) প্রফেসর মো: হারুন অর রশিদ মন্ডল এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো: আকতারুজ্জামান।
উল্লেখ্য, এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গত মঙ্গলবার ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমানসহ তিন শিক্ষককে গ্রেফতার করে।
পরে গণিত, কৃষি, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র উদ্ধার করা হয়। পরে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড ওই ৪টি পরীক্ষা স্থগীত ঘোষণা করে। বৃহস্পতিবার জীব বিজ্ঞান ও উচ্চুর গণিতের পরীক্ষাও স্থগিত করে নোটিশ দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড।
+ There are no comments
Add yours