বড় ধরনের সংকটে পরিণত হওয়ার আগেই অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) ঠেকাতে টেকসই রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খবর বাসসের।
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের লেক্সিংটন হোটেলে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বিষয়ে প্রাতরাশ বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিশ্ব নেতাদের এ গ্রুপ থেকে বিষয়টিকে তুলে ধরার জন্যে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এএমআর এমন একটি সমস্যা যা সংকটে রূপ নিতে পারে। এর কারণে বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ প্রাণহানি হতে পারে। এটি প্রতিরোধে আমাদের টেকসই রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এএমআর সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই।
এএমআর বিষয়ে প্রায় ১৫০টি দেশের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে এগুলো বাস্তবায়নের জন্যে অর্থপূর্ণ সহায়তা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতায় এএমআর গুরুত্ব পাওয়া উচিত এবং ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মাল্টি-পার্টনার ট্রাস্ট ফান্ড পছন্দের হাতিয়ার হতে পারে।
এএমআরের জন্য বিশ্ব ও জাতীয় পর্যায়ে একটি শক্তিশালী বিনিয়োগ পরিস্থিতি তৈরি করা দরকার বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এএমআরের দায়িত্ব ও প্রতিক্রিয়া বোঝার জন্যে নজরদারি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ২০১৯ সাল থেকে গ্লাস প্ল্যাটফর্মে রিপোর্ট করে আসছে।
নতুন এএমআরের ভ্যাকসিন ও অন্যান্য চিকিৎসার জন্যে গবেষণা ও উদ্ভাবনের অভাবকে উদ্বেগের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ জন্যে বেসরকারি খাতের যথাযথ প্রণোদনা প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা অভিমত দেন যে, এ সূচকগুলোর ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ মানব স্বাস্থ্য, প্রাণী স্বাস্থ্য, খাদ্য ব্যবস্থা এবং পরিবেশকে প্রভাবিত করে এমন এএমআর নীতি তৈরিতে সাহায্য করতে পারে।
+ There are no comments
Add yours