এমপি-পুলিশসহ তিন শতাধিক মানুষের হাজার কোটি টাকা হাওয়া

Estimated read time 1 min read
Ad1

কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার ২নং মানিকাচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেনের (৪৩) গাড়ি ব্যবসার ফাঁদে পা দিয়ে হাজার কোটি টাকা খুইয়েছেন এমপি-পুলিশসহ তিন শতাধিক মানুষ।

প্রতারণার এই টাকা দিয়ে জাকির হোসেন নিজে কিনেছেন গাড়ি-বাড়ি-জমি, ছেলেকে পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। ২১ সেপ্টেম্বর রাতে কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানা এলাকা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জাকির চেয়ারম্যান মূলত কয়েক ধাপে প্রতারণা করেছেন। অন্য কেউ গাড়ি কিনে মাসিক চুক্তিতে তাকে দিত রেন্ট-এ-কার ব্যবসার জন্য। জাকির সেই গাড়ি বিক্রি করে দিতেন, যিনি গাড়ি দিয়েছিলেন তাকে মাসিক চুক্তির টাকাও দিতেন না। আবার স্বল্প মূল্যে গাড়ির মালিকানা হস্তান্তরের লোভ দেখিয়েও হাতিয়ে নিতেন টাকা।

পুলিশ বলছে, সাধারণ মানুষ ছাড়াও জাকির হোসেনের প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছেন সংসদ সদস্য, পুলিশ সদস্যও। অবশ্য প্রভাবশালী এই ব্যক্তিদের মাসিক চুক্তির টাকা পরিশোধ করেছেন জাকির।

আজ (শুক্রবার) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে জাকির চেয়ারম্যানের প্রতারণার বিষয়ে কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান হারুন-অর-রশিদ। তিনি বলেন, রেন্ট-এ-কারের ব্যবসার আড়ালে ভয়ঙ্কর প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন জাকির চেয়ারম্যান। তিনি দুই তিন প্রক্রিয়ায় প্রতারণা করে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

হারুন-অর-রশিদ বলেন, গত কয়েকদিনে ডিবি অফিসে দুই শতাধিক ভুক্তভোগী ভিড় করেছেন। আমরা তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারলাম, শুধু মুন্সিগঞ্জের একটি গ্রাম থেকেই ১৫০ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক জাকির।

হারুন বলেন, তার গাড়ি রয়েছে ২০ বা ২৫টা। সেসব গাড়ি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সবাইকে দেখাতেন। তিনি কয়েকজন এমপি, প্রশাসনের লোকদের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছেন। তবে তাদের কাছে ভাবমূর্তি ঠিক রাখার জন্য মাসিক কিস্তির টাকা ঠিকই মাসে মাসে পরিশোধ করেছেন।

হারুন-অর-রশিদ বলেন, আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি, তিনি গ্রামের বাড়িতে প্রতারণার সেই টাকায় আলিসান বাড়ি করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পেতে কাউকে প্রাডো গাড়ি কিনে দিয়েছেন, নির্বাচনে বিপুল টাকা খরচ করে চেয়ারম্যান হয়েছেন। ঢাকা শহরে তিনি গাড়ি-ফ্ল্যাট-প্লট করেছেন। প্রতারণার টাকায় তিনি নিজের ছেলেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছেন। আগামী নভেম্বরে তারও যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। আমরা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করব। ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরতের চেষ্টা করা হবে। তার সম্পদ জব্দের জন্য প্রয়োজনে সিআইডিতে মামলা হস্তান্তর করা হবে।

এর আগেও তাকে গ্রেপ্তারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন,কিন্তু অনেকে বলেছেন, তিনি গ্রেপ্তার হলে মাসিক কিস্তির টাকা পাবেন না। কিন্তু তিনি বেশিরভাগেরই মাসিক কিস্তির টাকা পরিশোধ করেননি। মূল টাকা তো নেই, গাড়িও মেরে দিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours