ব্যাংকগুলোর আমদানি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ডলারের সর্বোচ্চ দাম কত হবে তা পুননির্ধারণ করেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। এর আগে, ডলারের সংকট নিরসন ও প্রবাসী আয় বাড়াতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেরাই বসে গত ১১ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ এ দাম নির্ধারণ করে দেয়।
এখন থেকে প্রবাসী শ্রমিকরা দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রতি ডলারে সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা দেবে ব্যাংক।
এতদিন এই দর ছিল ১০৮ টাকা। এছাড়া বাণিজ্যিক রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বিল নগদায়নের রেট প্রতি ডলার ৯৯ টাকা রাখা হয়েছে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকের মাধ্যমে শুধুমাত্র রেমিট্যান্স কেনার ক্ষেত্রে পূর্বের দাম সংশোধন করা হয়েছে। বাকিগুলোতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। আন্তঃব্যাংক ডলার লেনদেনের ক্ষেত্রে দুই দামের মধ্যবর্তী একটি সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুনভাবে নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বিলের গড় ১০৩ টাকা ২৫ পয়সা। তবে ব্যাংকগুলো চাইলে এই দরের সঙ্গে এক টাকা লাভ করে ১০৪ টাকা ২৫ পয়সায় অন্য ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করতে পারবে। এই সিদ্ধান্ত আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
বাফেদা ঘোষণা দিয়েছিল, দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাণিজ্যিক রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বিল নগদায়ন হবে প্রতি ডলার ৯৯ টাকায়। এছাড়া রেমিট্যান্স আহরণ ও রপ্তানি বিল নগদায়নে ব্যাংকগুলোর গড় (ওয়েট অ্যান্ড এভারেজ) মূল্যের সঙ্গে সর্বোচ্চ এক টাকা যোগ করে আমদানিকারকের কাছে ডলার বিক্রি করতে পারবে ব্যাংকগুলো।
এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ‘টাকার বিনিময় মূল্য’ অংশে বলা হয়েছে, চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে এবং বাফেদার নির্দেশনা অনুযায়ী, আন্তঃব্যাংক লেনদেন ও গ্রাহক লেনেদেনের জন্য টাকার বিনিময়মূল্য নির্ধারণ করছে ব্যাংকগুলো।
কিন্তু সবশেষ ২২ সেপ্টেম্বরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য সর্বোচ্চ ১০৩ টাকা ২৫ পয়সা ও সর্বনিম্ন ১০১ টাকা ৫৭ পয়সা দেওয়া আছে।
কেবি২৪/অব
+ There are no comments
Add yours