‘১৯৯৬ সালে যখন আমি ক্ষমতায় আসি তখন দেশে একটিমাত্র টেলিভিশন, একটি রেডিও ও সামান্য কয়েকটি পত্রিকা ছিল। আমি সরকারে আসার পর গণমাধ্যমে বেসরকারি খাতের অন্তর্ভুক্তি উন্মুক্ত করে দিলাম।’
‘শুধু তাই নয় টেলিফোন ছিল অ্যানালগ, ডিজিটাল করে দিলাম। মোবাইল ফোন ব্যবহার করা, কম্পিউটার শিক্ষা, এই যে ডিজিটল ডিভাইস ব্যবহারের ওপর ট্রেনিং, এগুলোর ব্যবস্থা আমরাই করে দিয়েছি।’
জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থানকালে ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় এক ঘণ্টার এই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, মিডিয়ার স্বাধীনতা, আগামী নির্বাচন ও রোহিঙ্গা প্রসঙ্গসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, এক সময় দেশে প্রতি রাতে কারফিউ জারি করা হতো, মানুষ রাস্তায় বের হতে পারতো না। একটা মানুষ যে কথা বলবে, প্রতিবাদ করবে সে অধিকারটা ছিল না। একটা কথা প্রচলিত ছিল যে সাদা একটা মাইক্রো বাস কাউকে তুলে নিলে তাকে আর ফিরে পাওয়া যেত না। আমাদের সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর হাজার হাজার অফিসার-সৈনিক, তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি বলতে পারি যে, পঁচাত্তর সাল থেকে নিয়ে ৮৬ সাল পর্যন্ত ১৯টা ক্যু হয়েছে বাংলাদেশে, এরপরেও আবার ক্যু অ্যাটেমপ্ট হয়েছে কয়েকবার এবং সেই সময়ে কোনো মানুষের কোনো অধিকার ছিল না। কথা বলার কোনো অধিকার ছিল না। মত প্রকাশের কোনো অধিকার ছিল না যে তারা একটা কোনো প্রতিবাদ করবে। সেই অবস্থাটা বিরাজমান ছিল।
কেবি২৪/বিডি
+ There are no comments
Add yours