
ডেস্ক নিউজ
মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় টহল, তল্লাশী, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা আদায় শুরু হয়েছে। আজ থেকে ২২ দিন এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
কক্সবাজারঃ কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান জানিয়েছেন, সরকার ঘোষিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে সমুদ্রপাড়ের সকল ইউনিয়নে জেলেদের নিয়ে আলোচনা সভা, পোস্টার ও ব্যানার প্রদর্শন, মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি মৎস্য অবতরণকেন্দ্র ও জেলে অধ্যুষিত এলাকায় জনসচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। সকল জেলে নৌকাকে নির্ধারিত এলাকায় আটকে রাখা হয়েছে। মেরিন ড্রাইভের ইনানি সী বিচ থেকে সাবরাং পর্যন্ত অসংখ্য জেলে নৌকা সাগরের পাড়ে তুলে রাখা হয়েছে। গতকাল রাত ১২টা থেকে বিএফডিসি ঘাট ও কোস্টগার্ড ঘাটে তল্লাশী কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে, যাতে কোন জেলে নৌকা সমুদ্রের দিকে বের হতে না পারে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন, কক্সবাজারের সকল উপজেলায় জেলা পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীর সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শুরু হয়েছে। এ অভিযান পুরো সময়ে অব্যাহত থাকবে। আজ কক্সবাজারের বাঁকখালী নদী হতে মহেশখালী চ্যানেল, সোনাদিয়া দ্বীপ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। নৌবাহিনীর ৬টি জাহাজ নিষেধাজ্ঞাকালীন টহল পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছেন।
চাঁদপুরঃ এদিকে আজ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী স.ম রেজাউল করিম প্রধান অতিথি হিসেবে নৌ-র্যালীর নেতৃত্ব দেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক জাহান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, নৌ-পুলিশের ডিআইজি মোঃ আতিকুল ইসলাম, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, নিষেধাজ্ঞাকালে কোন জেলেকে নদী বা সাগরে নামতে দেওয়া হবে না।
চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রামে আজ থেকে শুরু হয়েছে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা। নতুন ফিসারীঘাট এলাকা হতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শুরু হয়। এরপর অবতরণকেন্দ্রগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রশাসনের নজরদারির কারনে জেলেদের জালগুলি নৌকা থেকে নামিয়ে পাড়ে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। আজ পুরাতন ফিসারিঘাটেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে কোন ইলিশ পাওয়া যায় নি। এরপর ডিসি হিল সংলগ্ন পথের ওপর বাজারে অভিযান চালিয়ে ২০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ ও ২০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। জামালখান বাজারে অভিযানে কোন ইলিশ মাছ পায়নি মোবাইল কোর্ট। রিয়াজ উদ্দিন বাজারেও মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় কোন ইলিশ পাওয়া যায়নি।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মো: আলী হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামালুদ্দিন চৌধুরী, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মৎস্য জরীপ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। জব্দকৃত মাছ সরকারি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।পিআইডি।
+ There are no comments
Add yours