পূজা মণ্ডপে জঙ্গি হামলার ঝুঁকি কোনোভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ঢাকা মহানগরীর ২৪২টি পূজা মণ্ডপে সিসিটিভির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি জাতীয় পূজা মণ্ডপে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এখানে পুলিশ, ডিবি ও আনসার সদস্যদের ২৪ ঘণ্টা ডিউটি পোস্ট থাকবে।
পাশাপাশি সোয়াত টিমও এখানে টহলে থাকবে। এছাড়া পূজা উদযাপন কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। এখানে প্রবেশ পথে ডিটেক্টর রাখা হয়েছে। আমি অনুরোধ করব আপনারা কোন ভ্যানিটি ব্যাগ বা অন্য কোনো ব্যাগ এখানে নিয়ে আসবেন না। আনলে এগুলো প্রবেশের আগেই রেখে দেওয়া হবে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ছিল; সেখানে ২৪ ঘণ্টা ডিউটি না থাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। পূজা উদযাপন কমিটির স্বেচ্ছাসেবক এবং আনসার সদস্যরা অন্যান্য পূজা মণ্ডপে ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করবেন।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, পূজা মণ্ডপে দুই ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে আমরা কাজ করছি। রাজধানীতে ২৪২টি মণ্ডপ রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি পূজা মণ্ডপ সবচেয়ে বড়। আপনারা জানেন মাস খানেক আগে ৫০টি ছেলে ঘর ছেড়েছে। কোথায় তারা ট্রেনিং করছে সেটা জানার চেষ্টা করছি আমরা। আশা করি, তারা ফিল্ডে কোনো অপারেশন করার আগেই আমরা তাদের ধরে ফেলব। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রটিয়ে এবং ফেসবুকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি তৈরি করে একটি চক্র। এদের ঝুঁকি কিন্তু সবসময় থেকে যায়। গত বছর কুমিল্লার একটি ঘটনার বিষয় আপনারা জানেন, মন্দিরে কোরআন শরীফ রেখে যে অপতৎপরতা হয়েছিল; সে রকম ঘটনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
কেবি২৪/আ৯৩
+ There are no comments
Add yours